নির্বাচনের তিন দিন পর মানিকের হতাশা!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে আবার নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। টানা চতুর্থবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। কিন্তু সভাপতি পদে লড়াই করে মাত্র এক ভোট পেয়েছেন আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। তবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন যে জায়গায় চলে গেছে, তাতে প্রকৃত সংগঠক আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। এই নির্বাচন একটা দৃষ্টান্ত। নির্বাচনের আগে কাজী সালাউদ্দিনকে সবাই বলেছেন ব্যর্থ। অথচ তারা এখন আর ব্যর্থ বলছেন না।’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ বলেন, ‘আমি নির্বাচন করেছি, কিন্তু আমাকে সব সুযোগ দেওয়া হয়নি। এজিএম শেষে সবকিছু নির্বাচন কমিশনারের অধীনে যায়। আমিও একজন প্রার্থী ছিলাম। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমি বাইরে, অন্য প্রার্থীরা ভেতরে, এটা ঠিক হলো না। আমার তো সম-অধিকার থাকতে হবে। ভোটিংয়ের সময় তারা ছিলেন। গণনার সময় গিয়েছিলাম ভেতরে। দুর্ভাগ্যবশত আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে নানা অযুহাত দেখিয়ে।’
নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন মাত্র এক ভোট।
এদিকে সিনিয়র সহসভাপতি পদে এবারও জয় পেয়েছেন সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী। সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে দাঁড়ানো শেখ মোহাম্মদ আসলামকে হারিয়ে ফের একই পদে নির্বাচিত হলেন সালাম মুশের্দী। তিনি পেয়েছেন ৯১টি ভোট, প্রতিপক্ষ আসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট।
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান প্রথমবার নির্বাচনের মঞ্চে এসেই সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ ভোট পেয়ে আগামী চার বছরের জন্য প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থবার সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। ৮১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। ৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আতাউর রহমান মানিক। তবে সমান ৬৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়াল।
সহসভাপতি পদের প্রথম তিনজনই সম্মিলিত পরিষদের। বাকি দুজনের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ সমন্বয় পরিষদের আর তাবিথ ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় আগামী ৩১ অক্টোবর চতুর্থ সহসভাপতি পদের নির্বাচন হবে।