তরুণ রুয়েল মিয়ার বিধ্বংসী বোলিংয়ে দুই দিনেই জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলমান আসরে ষষ্ঠ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ জিতল সিলেট বিভাগ। ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন ১৮ বছর বয়সী রুয়েল। ফলে সিলেট নয় উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম বিভাগকে।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিনই বল হাতে বিধ্বংসী ছিলেন বাঁহাতি পেসার রুয়েল। বল হাতে আট উইকেট নিয়ে প্রথম দিনই চট্টগ্রাম বিভাগকে ১০৬ রানে অলআউট করে দেন। জবাবে দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ১৮৬ রান করেছিল সিলেট। ফলে পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে ৮০ রানে এগিয়ে যায় সিলেট।

দ্বিতীয় দিন বাকি পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৪৪ রান যোগ করে সিলেট। চট্টগ্রামের ডানহাতি পেসার ইরফান হোসেন ৯৫ রানে  ছয় উইকেট নিয়ে সিলেটকে ২৩০ রানে গুটিয়ে দেন। দলের পক্ষে উইকেটরক্ষক অমিত হাসান ৫৫ ও অধিনায়ক অলক কাপালি ৪১ রান করেন।

প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩৪ রানে তিন উইকেট হারায় তারা।

এরপর শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমান ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। ৬৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। ইরফান ৬৬ ও সাদিকুর ৬২ রান করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের আর কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ১৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। এই ইনিংসে ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট নেন রুয়েল।

১৬৫ রানে চট্টগ্রামের অলআউটে ম্যাচ জয়ের জন্য ৪২ রানের টার্গেট পায় সিলেট। সেই টার্গেট ৩৫ বল খেলেই স্পর্শ করে ফেলে সিলেট। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ১৪ রানে ফিরেন। শাহনাজ আহমেদ ১৮ ও তৌফিক খান ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচে ৬৫ রানে ১৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রুয়েল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই নজর কাড়া পারফরমেন্স করলেন রুয়েল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

চট্টগ্রাম বিভাগ : ১০৬/১০, ৩৫.১ ওভার (তাসামুল ২১, ইরফান ২১, রুয়েল ৮/২৬)।

সিলেট বিভাগ : ২৩০/১০, ৬৫ ওভার (অমিত ৫৫, কাপালি ৪১, ইরফান ৫/৯৫)।

চট্টগ্রাম বিভাগ : ১৬৫/১০, ৫১.১ ওভার (শুক্কুর ৬৬, সাদিকুর ৬২, রুয়েল ৫/৩৯)।

সিলেট বিভাগ : ৪৫/১, ৫.৫ ওভার (শাহনাজ ১৮*, ইমতিয়াজ ১৪, ইরফান ১/১৯)।

ফল : সিলেট বিভাগ নয় উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : রুয়েল মিয়া (সিলেট বিভাগ)।