তারপরও ফলোঅনের লজ্জা এড়াতে পারল না পাকিস্তান
অধিনায়ক আজহার আলির লড়াকু শতরানেও ফলোঅনের লজ্জা এড়াতে পারল না পাকিস্তান। সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে ৫৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ২৭৩ রানে। তাই প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা। পাকিস্তানকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে ডাকার সুযোগ হাতছাড়া করেননি জো রুট।
জ্যাক ক্রাউলির ২৬৭ ও জস বাটলারের ১৫২ রানের দুটি অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ইংল্যান্ড পাকিস্তানের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দেয়। পাকিস্তানকে অনেকটা একাই টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক আজহার আলি। ষষ্ঠ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ছয় হাজার রানের মাইলফলক টপকে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত আজহার আলি ১৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২১টি বাউন্ডারি মারেন। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া বাকিরা আর কেউই অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি। রিজওয়ান আউট হন ৫৩ রান করে। তিনিই একমাত্র উইকেটকিপার, যিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একই টেস্ট সিরিজে দুটি হাফসেঞ্চুরি করেন।
জেমস অ্যান্ডারসন প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন। তিনি ছুঁয়ে ফেলেন কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। পেসারদের মধ্যে তাঁর থেকে বেশিবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন শুধু রিচার্ড হ্যাডলি (৩৬)।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি উইকেট নিলেই অ্যান্ডারসন একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলবেন। পাকিস্তানকে ফলোঅন করানোয় চতুর্থ দিনেই সে সুযোগ পেয়ে যাবেন জিমি। স্বল্প আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় দিনে আর ব্যাট করতে নামেনি পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৫৮৩/৮ (ডিক্লেয়ার), পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ২৭৩ (তৃতীয় দিনের শেষে)।