তামিম বলেছিলেন ২ বছর, লিটনের লাগল ২ দিন
মাত্র দুইদিন আগে ১৫৮ রানের রেকর্ড ইনিংসটি খেলার পর তামিম ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তাঁর এই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দুই-তিন বছর নয়। মাত্র দুই দিনের মাথায় তামিমের এই রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান খ্যাত লিটন দাস। খেললেন ১৭৬ রানের দারুণ ইনিংস। ওয়ানডেতে এখন বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
মুশফিকুর রহিমের পর লিটন দাসকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা টেকনিক্যাল্লি সলিড ব্যাটসম্যান মনে করা হয়। আর তার যথার্থ প্রমাণও তিনি দিলেন আজ সলিড ব্যাটিং করে। নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। পুরনো রেকর্ডের মালিক তামিম ইকবালের সামনে তাঁরই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ার উল্লাসে মাতালেন পুরো বাংলাদেশকে।
অনেক দিন ধরেই সেঞ্চুরি খরায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এরপর ২৩টি ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাননি বাঁহাতি ওপেনার। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির মধ্যে দিয়ে রানে ফেরেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ১৫৪ রানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এতদিন এটাই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। মঙ্গলবার ১১ বছর পর সেই ইনিংস টপকে যান তামিম নিজেই।
এদিন ১৫৮ রানের ইনিংসের পর তামিম হয়তো ভেবেছিলেন অনেকদিন তিনি রেকর্ডের মালিক হয়েই থাকবেন। তবে কে জানতো মাত্র দুই দিনের রেকর্ড গরেছেন তামিম?
আজ শুক্রবার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল ও লিটন গড়েন ওপেনিং জুটির ইতিহাস। দুই জনের এই জুটিতে আসে ২৯২ রান। যা বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এদিন তামিম-লিটন দুই জনেই সেঞ্চুরির দেখা পান।
মজার কথা হলো, তামিমের সামনে তামিমকেই দর্শক বানিয়ে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন লিটন। কার্ল মুম্বার বলে আউট হওয়ার পূর্বে ১৪৩ বল খেলে ১৬টি চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৬ রান করেন তিনি। রেকর্ড ইনিংস খেলে লিটন আউট হলেও ১০৯ বলে ৭ চার ৬ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।