টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
টানা পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এরই মধ্যে টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টস জিতে আগে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে। গত এক বছরে টেস্টে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। শেষ জয়টা এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে। তখন প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে উইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশে নিজের অধ্যায়ের ইতি টানেন লঙ্কান কোচ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশও হারিয়েছে জয়ের ছন্দে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে। গত এক বছরে টেস্টে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। শেষ জয়টা এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে। তখন প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে উইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশে নিজের অধ্যায়ের ইতি টানেন লঙ্কান কোচ। সেইসঙ্গে বাংলাদেশও হারিয়েছে জয়ের ছন্দ।
হারের শুরুটা হয় গত বছর ফ্রেব্রুয়ারিতে। নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচে হেরে দেশে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে হারে এই ফরম্যাটের নবীন দল আফগানদের কাছে। ডিসেম্বরে ভারত সফরে হয় হোয়াইটওয়াশ। সর্বশেষ পাকিস্তানেও ইনিংস ব্যবধানে হার। সব মিলিয়ে হতাশার সাগরে ডুবে আছে বাংলাদেশ।
খারাপ সময় ভুলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘এই ম্যাচটা জিততে পারলে বা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে দুঃসময় কেটে যাবে। ব্যাডপ্যাচের মধ্যে ছিলাম, সেটা ওভারকাম হবে। যে সংস্কৃতিটা তৈরি করার চেষ্টা করছি, সেটা অনেকটা পরিবর্তন হবে।’
অধিনায়ক জানালেন জয়ের জন্য মাঠে নামবে তাঁর দল, ‘প্রতিটি সিরিজেই, প্রতিটি ম্যাচেই আমরা জেতার জন্য নামি। (প্রতিপক্ষ) জিম্বাবুয়ে হোক, অস্ট্রেলিয়া হোক। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য আশাবাদী। (তবে) শুধু আশা থাকলে তো হবে না, আত্মবিশ্বাসও থাকতে হবে। আশা করি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব দিক থেকেই ফেভারিট বাংলাদেশ। তবুও প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। জিম্বাবুয়েকে সমীহ করেই মাঠের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। মুমিনুল বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে আমাদের এখানে এসেছে বলে খাটো করে দেখার কিছু নেই। সব দলই ভালো। জিম্বাবুয়েকে সবসময় ভালো দল হিসেবেই সমীহ করি। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচে চাপ থাকবেই। অতটুকু নিতেই হবে। সবাই সেভাবেই চেষ্টা করছে। সবাই উন্নতি করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। চার-পাঁচদিন ধরে সবাই ম্যাচটা খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’
তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে মরিয়া জিম্বাবুয়েও। দলটির কোচ লালচাঁদ রাজপুত বলেন, ‘অধিনায়ক আগেই বলেছে, বাংলাদেশ দেশের মাটিতে শক্তিশালী। যেটা সত্যি। তবে আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলব।’
জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দুই দলই। তবে সাদা-পোশাকে কারা বাজিমাত করতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ দল
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলী রাব্বি।
জিম্বাবুয়ে দল
সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), ক্রেইক আরভিন (অধিনায়ক), কেভিন কাসুজা, টিমিসেন মারুমা, প্রিন্স মাসাভরে, ক্রিস্টফার এমপুফু, ব্রায়ান মুদজিগানিয়ামা, কার্ল মুম্বা, টিনোটেন্ডা মুতমবদজি, আনিসলে আনডলোভু, ভিক্টর নিয়াউচি, ব্রেন্ডর টেলর, ডোনাল্ট টিরিপানো ও চার্ল্টন টিশুমা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সময়সূচি
২২-২৬ ফ্রেব্রুয়ারি – একমাত্র টেস্ট
১ মার্চ – প্রথম ওয়ানডে
৩ মার্চ – দ্বিতীয় ওয়ানডে
৬ মার্চ – তৃতীয় ওয়ানডে
৯ মার্চ – প্রথম টি-টোয়েন্টি
১১ মার্চ – দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি