জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
লক্ষ্য বিশাল, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের চাই ৩২২ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই টিনাশে কামুনহুকামউই সাজঘরে ফেরেন। সে ধারাবাহিকতায় দ্রুত আরো পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সাফরকারী দলটি।
শুরুতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। তবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে থামিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম। বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন টেইলরকে। এরপর সিকান্দারকে ফেরান মুস্তাফিজ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ আট উইকেটে ১০৯ রান।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার টিনাশেকে বোল্ড করেন তরুণ পেসার সাইফউদ্দিন। ফেরার আগে ১০ বলে এক রান করেন সফরকারী দলের ওপেনার।
দ্বিতীয় শিকারও সাইফউদ্দিনের, রেজিস চাকাভাকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। ইনিংসের ৭.৪ তম ওভারে এলবির ফাঁদে ফেলে চাকাভাকে সাজঘরে পাঠান ডানহাতি পেসার। নবম ওভারে চিমু চিবাবাকে (১০) আউট করেন অধিনায়ক মাশরাফি।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১২৬ রান করেন লিটন দাস।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বল থেকে দেখেশুনে খেলেন তামিম ইকবাল। তবে রানের গতি বাড়ান লিটন দাস। দুই ওপেনারের ব্যাটে প্রথম ১০ ওভারে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
এরপরই তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেটে থিতু হয়েও টিকতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। এলবির ফাঁদে পড়েন ২৪ রানে। ৬০ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ৮০ রান যোগ করেন ডানহাতি ওপেনার। এর মাঝে ৪৫ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।
ছুটতে থাকা এই জুটি ভাঙে শান্তর আউটে। ২৫.৪তম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়ে ফিরে যান শান্ত। জিম্বাবুয়ের লেগস্পিনার মাটুমবডজির ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি শান্ত। সফরকারীরা আবেদন জানালে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন আম্পায়ার। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে ব্যাট চলাকালীন সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন দাস। ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন তিন অঙ্কের ঘরে যান ৯৫ বলে। ডানহাতি ওপেনারের শতরানের ইনিংসটি সাজান ১০টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায়।
এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লিটন। মাঝে কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অবশেষে সিলেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করেই এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১২৬ রানের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে লিটনের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস এটি। এর আগে এশিয়া কাপে করেছিলেন ১২১ রান।
তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। করেন মাত্র ১৯ রানে। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ-মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে দুজন তোলেন ৬৮ রান। ৪৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর আউটে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ২৮ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর ঠিক ৫০ রান করে আউট হন মিঠুন। ৪১ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।