জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ রেকর্ড বাংলাদেশের
লিটন দাসের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসের দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ল বাংলাদেশ। আজ রোববার সিলেটে সফরকারীদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩২০। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে এই রান করে বাংলাদেশ। এবার লিটনের সেঞ্চুরির দিনে আগের সেরা ছাড়িয়ে গেল লাল-সবুজের দল।
এ ছাড়া ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অষ্টম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অসিদের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান করে বাংলাদেশ। এরপরের ছয় ইনিংস যথাক্রমে ৩৩০, ৩২৯, ৩২৬, ৩২৪, ৩২২ ও ৩২২।
ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বল থেকে দেখেশুনে খেলেন তামিম ইকবাল। তবে রানের গতি বাড়ান লিটন দাস। দুই ওপেনারের ব্যাটে প্রথম ১০ ওভারে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
এরপরই তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেটে থিতু হয়েও টিকতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। এলবির ফাঁদে পড়েন ২৪ রানে। ৬০ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ৮০ রান যোগ করেন ডানহাতি ওপেনার। এর মাঝে ৪৫ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।
ছুটতে থাকা এই জুটি ভাঙে শান্তর আউটে। ২৫.৪তম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়ে ফিরে যান শান্ত। জিম্বাবুয়ের লেগস্পিনার মাটুমবডজির ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি শান্ত। সফরকারীরা আবেদন জানালে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন আম্পায়ার। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে ব্যাট চলাকালীন সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন দাস। ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন তিন অঙ্কের ঘরে যান ৯৫ বলে। ডানহাতি ওপেনারের শতরানের ইনিংসটি সাজান ১০টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায়।
এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লিটন। মাঝে কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অবশেষে সিলেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করেই এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১২৬ রানের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে লিটনের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস এটি। এর আগে এশিয়া কাপে করেছিলেন ১২১ রান।
তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। করেন মাত্র ১৯ রানে। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ-মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে দুজন তোলেন ৬৮ রান। ৪৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর আউটে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ২৮ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর ঠিক ৫০ রান করে আউট হন মিঠুন। ৪১ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।