ছেলেসহ করোনায় আক্রান্ত কিংবদন্তি ডিফেন্ডার মালদিনি
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার সে তালিকায় নাম লেখালেন ইতালি ফুটবল দলের সাবেক কিংবদন্তি ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে দানিয়েল মালদিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাবা-ছেলের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালদিনির সাবেক ক্লাব এসি মিলান।
এক বিবৃতিতে এসি মিলানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাওলো মালদিনি ক্লাবের টেকনিক্যাল পরিচালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁর শরীরেও ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়। করোনা টেস্টেও পজিটিভ এসেছে। তাঁর ছেলে এবং এসি মিলান যুব দলের ফরোয়ার্ড দানিয়েল মালদিনির টেস্টেও পজিটিভ এসেছে। পাওলো এবং তাঁর ছেলে এর মধ্যেই বাসায় দুই সপ্তাহ একা কাটিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত তাঁরা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’
এর আগে করোনায় আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবালা। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। কয়েক দিন আগে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল শনিবার ফলাফল হাতে এসেছে। ফলাফলে দেখা যায়, দিবালা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই করোনায় আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
করোনায় আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত দিবালার শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। দিবালা একা নন, তাঁর সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাও। তবে এখন পর্যন্ত কারো ক্ষেত্রেই উপসর্গ দেখা যায়নি।
নিজের আক্রান্তের খবর জানিয়ে দিবালা লিখেছেন, ‘হ্যালো, সবাইকে জানাতে চাই যে, মাত্রই কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছি। আমি ও ওরিয়ানা দুজনই পজিটিভ। সৌভাগ্যবশত, আমরা দুজনই শারীরিকভাবে একেবারে ঠিকঠাক আছি। আপনাদের বার্তার জন্য ধন্যবাদ।’
এ নিয়ে জুভেন্টাসের মোট তিনজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলে রুগানি। এরপর ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইজ মাতুইদিও। এবার সে তালিকার নতুন নাম পাওলো দিবালা।
এদিকে, দিবালার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর বিবৃতিতে জানিয়েছে জুভেন্টাসও। তারা জানিয়েছে, ‘পাওলো দিবালা মেডিকেল টেস্ট করিয়েছেন, যেটাতে তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া গেছে। ১১ মার্চ বুধবার থেকেই তিনি বাড়িতে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি সুস্থ আছেন, কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না তাঁর শরীরে।’