চোখের জলে বাদল রায়কে বিদায় জানালেন সতীর্থ-শুভানুধ্যায়ীরা
গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় চিরবিদায় জানানো হয়েছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার বাদল রায়কে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ শ্রদ্ধা জানান সতীর্থ ও ভক্তরা। সাবেক এই তারকাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অনেকেই।
বাদল রায়ের মৃত্যুতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু খুবই ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘তার (বাদল রায়) চলে যাওয়াটা আমি মানতে পারছি না। কারণ সব বিষয়ে ওকে আমি খুবই হেল্প করতাম।’
বন্ধু সতীর্থ হাসানুজ্জামান খান বাবলু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এমন কোনো দিন নেই তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাদলের টেলিফোন পেতাম, তুমি কী করছ বাসায়। আজ তার চলে যাওয়াটা আমার কাছে খুবই কষ্টের।’
আরেক সাবেক ফুটবলার মোসাব্বের হোসেন বলেন, ‘আমরা দুজনেই একসঙ্গে, একই দিনে মোহামেডান ক্লাবে যোগ দিই। ১৯৭৭ সালে আগাখান গোল্ড কাপ দিয়ে আমাদের শুরু হয়েছিল। সে এখন অনেক দূরে চলে গেছে।’
মোহামেডানের সাবেক সতীর্থ ইমতিয়াজ সুলতান জনি বলেন, ‘উনি শুধু খেলোয়াড় ছিলেন না, একটা সামাজিক অবস্থানও তৈরি করেছিলেন। খেলোয়াদের জন্য অন্যরকম দরদ ছিল তাঁর, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদের দৃষ্টিতে বাদল রায় ছিলেন একজন ভালো মানুষ, ‘বাদল রায়ের মতো একজন ভালো মানুষ ও ফুটবলপ্রেমী আর আসবে কি না, আমরা জানি না।’
বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল বলেন, ‘তিনি (বাদল রায়) শুধু একজন ভালো খেলোয়াড়ই ছিলেন না, একজন সফল সংগঠকও ছিলেন।’
বাদল রায়ের মেয়ে গঙ্গোত্রী রায় বলেন, ‘বাবাকে সবাই স্মরণে রাখবেন। আশীর্বাদ করবেন, যেখানেই থাকে যেন ভালো থাকে।’