চট্টগ্রামকে হেসে-খেলে হারাল মুশফিকের খুলনা
১৪৫ রানের মাঝারি লক্ষ্য, স্পোর্টিং উইকেট সবকিছু মিলিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। সেই সহজ কাজটা হেসে-খেলেই করল খুলনা টাইগার্স। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আজ বৃহস্পতিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে হারাল খুলনা টাইগার্স।
গতকাল বুধবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের খুলনার কাছে হেরে গেল চ্যালেঞ্জার্সরা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন ও সিমন্স মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৪৫ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে সিমন্সকে আউট করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন শফিউল ইসলাম।
সতীর্থকে হারিয়ে টিকে থাকতে পারেননি ওয়ালটনও। গতকাল ম্যাচ জেতানো ৪৯ রান করা ওয়ালটন ফিরলেন ১৮ রানে। আগেরদিন দুর্দান্ত করা ইমরুল কায়েসও টিকতে পারেননি এই ম্যাচে। রান আউটের শিকার হয়ে ১২ রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি।
এরপর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে চট্টগ্রামের হাল ধরেন নাসির হোসেন। কিছুদূর গিয়ে রান আউটের শিকার হন সোহান। ফেরার আগে সোহানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৯ রান।
একে একে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া চ্যালেঞ্জার্সকে ছুটতে পারলেন না নাসিরও। সোহান ফেরার কিছুক্ষণ বাদে আল-আমিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। শেষের দিকের মুক্তার আলীর ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুক্তার আলী।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে সমান একটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও শফিউল ইসলাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় উইকেটে রাইলি রুশোকে নিয়ে ঝড় তোলেন রহমতউল্লাহ্ গুরবাজ। ৫ বাউন্ডারি আর ছক্কায় মাত্র ১৮ রানে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। অবশ্য হাফসেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরের বলে ফেরেন মুক্তার আলীর বলে।
এরপর অবশ্য জয় পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি খুলনাকে। রাইলি রুশোর ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৩৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিল মুশকিকুর রহিমের দল। ম্যাচ শেষে ৬৪ অপরাজিত ছিলেন রুশো। ৩৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল সাত বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা। রুশোর সঙ্গে ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক।