ঘুরে দাঁড়ানোর আশা মাহমুদউল্লাহর
দুই আইকন ক্রিকেটার নিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নাম লেখায় জেমকন খুলনা। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে এখনো নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি দলটি। প্রথম ম্যাচে হারতে হারতে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচে হার। প্রতিটি ম্যাচেই খুলনাকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং। তবে এই হারের হতাশা কাটিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দলটির অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরিফুল হকের ব্যাটে চড়ে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পায় খুলনা। পরের ম্যাচেই হোঁচট খায় দলটি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে। এবার একই কারণে হেরেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে। আজ শনিবার টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে চট্টগ্রামের কাছে নয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে খুলনা।
টানা দুই ম্যাচে হারের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আবারও আমাদের পুরো ব্যাটিং বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে। বোলিংয়ে আমাদের স্পিন বিভাগ খুব ভালো করেছে, সাকিব ভালো বল করেছে। এটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু এটা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। আমরা পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারছি না। ড্রেসিং রুমে যেটা বলেছি সেটা করতে পারছি না। দল হিসেবে আমরা এখনো অনেক ইতিবাচক আছি শক্তভাবে ফিরে আসার জন্য এবং আশা করি পরের ম্যাচে খুব ভালো করতে পারব।’
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা কী ভুল করেছি। চেষ্টা করতে হবে একই ভুল আবার না করার। আমার মনে হয়, আজকের উইকেট কিছুটা বোলারদের পক্ষে ছিল। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়। আমরা নিজেদের ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারিনি।’
ম্যাচটিতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৩.৪ ওভারেই জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।
রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন ও সৌম্য। ওপেনিং জুটিতেই দুজন মিলে তোলেন ৭৩ রান। ১১তম ওভারে সৌম্য ফিরলে ভাঙে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি। ২৯ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৌম্য।
বাঁহাতি ওপেনারের ফেরার পর মুমিনুল হককে নিয়ে বাকি কাজ সেরেছেন লিটন। শেষ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ইনিংস শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। ৪৬ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল নয়টি বাউন্ডারি।