‘গোলাপি বলে পরীক্ষা দিতে হবে আম্পায়ারদেরও’
টেস্ট ক্রিকেটে দিবারাত্রির খেলা এখন আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু এশিয়ার দুই প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত গোলাপি বলে খেলেনি। তবে এবার সে অপেক্ষা ঘুচতে যাচ্ছে। আগামী ২২ নভেম্বর প্রথমবার গোলাপি বলে খেলতে নামবে দুই দল। আলোচিত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনসে।
ঐতিহাসিক এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা চলছে ক্রিকেট মহলে। দুদলের জন্যই ম্যাচটি নতুন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। তবে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি গোলাপি বলে ম্যাচ পরিচালনা করা আম্পায়ারদের জন্যও বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আম্পায়ার সাইমন টফেল।
অ্যাডিলেডে ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে আইসিসির আম্পায়ার পারফরম্যান্স ও ট্রেনিং ম্যানেজার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টফেল। আইসিসির অন্যতম এই সাবেক আম্পায়ারের মতে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে গোলাপি বল চোখ ফাঁকি দিতে শুরু করে, তাই আম্পায়রদেরও উচিত কৃত্রিম লেন্স ব্যবহার করা।
টফেল বলেন, ‘জানি না, ওরা (আম্পায়াররা) বলকে আলাদাভাবে দেখতে বিশেষ লেন্স চোখে নেবেন কি না। সেটা পুরোপুরি ওদের ব্যাপার। ওদের উচিত নেটে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সময়ও যত বেশি সম্ভব হাজির থাকা। নেটে অনেকটা সময় কাটালে আম্পায়াররা গোলাপি বল দেখার ব্যাপারে অভ্যস্ত হবে। ক্রিকেটে ঠিক সময়ে ঠিক জিনিস দেখা একটা বড় ব্যাপার। নেটে সময় দিলে ওদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।’
টফেল আরো বলেন, ‘সন্ধ্যা নামতেই আলো পরিবর্তন হয়। উজ্জ্বল সূর্যের আলো থেকে খেলা নৈশালোকে গড়ায়। এ সময় গোলাপি বলে খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য পরীক্ষা। শুধু ব্যাটসম্যান নয়, আম্পায়ারদের ক্ষেত্রেও এই একই কথা। ব্যাট করার মতোই তখন পরিচালনা করাও কঠিন হয় বেশ। শিশির থাকলে ফিল্ডিং করাও বড় সমস্যা। তখন একটা বড় কাজ, বল শুকনো রাখা। দেখার বিষয় বলের রং কতক্ষণ ঠিক থাকে। পুরোনো বল নিয়ে কতটা সময় খেলা যাবে, সেটা বোঝাও আম্পায়ারদের কাছে ঝামেলার। সাদা বলই ৫০ ওভার খেলা যায় না। সেখানে টেস্টে তো গোলাপি বলে ৮০ ওভার খেলা হবে!’