গেইলের ব্যাটে রাজশাহীকে চ্যালেঞ্জ দিল চট্টগ্রাম
ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ক্রিস গেইল। মাত্র ২৪ বলে খেললেন ৬০ রানের ইনিংস। তবে গেইলের জ্বলে ওঠার দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন ইমরুল-জিয়ারা। ফলে বিশাল সংগ্রহের আশা জাগিয়েও পারল না চট্টগ্রাম। গেইলের পর মাহমুদউল্লাহ্-গুনারত্নের চেষ্টায় বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীকে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেম নির্ধারিত ওভার ১৬৪ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন ক্রিস গেইল।
শিরোপা মঞ্চে ওঠার লড়াইয়ে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হারায় জিয়াউর রহমানকে। পুরো টুর্নামেন্টে ছন্দে থাকা ইমরুলও আজ হাল ধরতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে এসে তাঁকে ফিরিয়ে দেন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়তে পারতেন মাহমুদউল্লাহ্ও । ৫.৩তম ওভারে মাহমুদুল্লাহকে এলবির ফাঁদে ফেলতে আবেদন করেন রাসেল। রাজশাহী অধিনায়কের আবেদনে সাড়াও দেন আম্পায়ার। কিন্তু সফল রিভিউতে সেই যাত্রায় বেঁচে যান চট্টগ্রাম অধিনায়ক।
অবশ্য রাজশাহীর বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন গেইল। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২১ বলে স্পর্শ করেন ব্যক্তিত হাফসেঞ্চুরি। ছুটতে থাকা গেইলকে থামান আফিফ হোসেন। দশম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন আফিফ। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বল মাঠ ছাড়া করেন গেইল। পরের বলেই গেইলকে বোল্ড করেন আফিফ। ফেরার আগে মাত্র ২৪ বলে ৬০ রান করেন ক্যারবীয় তারকা। যাতে ছিল ছয় বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কা।
গেইল ফেরার পর ঝড় তোলার আভাস দেন মাহমুদউল্লাহ্। কিন্তু চট্টগ্রাম অধিনায়ককে স্থায়ী হতে দেননি নেওয়াজ। ১৮ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর অবশ্য রানের গতি বাড়াতে পারেনি চ্যালেঞ্জার্সরা। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। একটি করে নেন আন্দ্রে রাসেল, অলোক কাপালী ও আফিফ হোসেন।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ২০ ওভারে ১৬৪/৯ ( জিয়াউর ৬, গেইল ৬০, ইমরুল ৫, মাহমুদউল্লাহ্ ৩৩, নুরুল ০, ওয়ালটন ৫, এমরিত ৩, গুনারত্নে ১৬, রানা ০, নাসুম ০ ; ইরফান ৪-১-১৬-২ , জায়েদ ১-০-১৬-০, মালিক ১-০-১৮-০, রাব্বি , রাসেল ৩-০-৩৫-১, নেওয়াজ ৪-১-১৩-২, অলোক ৩-০-১৯-১, আফিফ ১-০-২০-১)।