গভীর রাতে দেশে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহরা
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লাহোর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।
পাকিস্তান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দুটি টি-টোয়েন্টিতেই বিবর্ণ সফরকারী বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয়টিতে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। তাতে ফলাফলও হার। দুই ম্যাচেই পাওয়ার হিটিংয়ের খুব অভাববোধ করেছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও বাংলাদেশের রান ছিল ৩৫। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে কেবল ৬২। দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে দুই উইকেটে ৩৩ রান। ১০ ওভারে ছিল তিন উইকেটে ৫৭। কিন্তু এরপর থেকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলে ইনিংস বড় করার মতো হিটার ছিল না।
একের পর এক ব্যাটসম্যান দিয়ে হিটিংয়ের কাজটা করাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। যেমনটা দ্বিতীয় ম্যাচে চেষ্টা করানো হয়েছিল তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসানকে দিয়ে। ক্যারিয়ারে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলা এই তরুণকে তিনেই নামিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ, যার নেপথ্যেও আছে সেই পাওয়ার হিটিং। কিন্তু পারেননি তিনিও।
তা ছাড়া বিপিএলে দারুণ খেলা কোনো ব্যাটসম্যানই জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে ওঠেননি। ছন্দে থাকা লিটন দুই ম্যাচে করেছেন ২০ রান, সৌম্য করেছেন ১১ রান আর আফিফ করেছেন ৩০ রান। সেই তুলনায় তামিম মোটামুটি ভালো করেছেন। মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য তামিমের সমালোচনা হচ্ছে ক্রিকেট পাড়ায়। তবে রানের তুলনায় বল বেশি খেলেননি তামিম। ধীর গতিতে এগোলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন তিনি। তবে দলের জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হয়েও দলকে প্রত্যাশিত শুরু এনে দিতে পারেননি তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তামিম করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৫৩ বলে ৬৫ রান। সব মিলিয়ে ইনিংস শেষ করার মতো কোনো ক্রিকেটার পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তবু শেষটা ভালোভাবে করার চিন্তা করছিল সফরকারীরা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
এদিকে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে আবারও ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান যাবে টিম টাইগার্স। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রথম টেস্ট ম্যাচ শেষে দেশে ফিরে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এপ্রিলে আবারও পাকিস্তান সফর করবেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। আগামী ৪ এপ্রিল করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচের ভেন্যুও করাচি। সেটি অনুষ্ঠিত হবে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।