খুলনার সপ্তম শিরোপার উল্লাস, গড়ল রেকর্ডও
জাতীয় জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ মঙ্গলবার আসরের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগকে নয় উইকেটে হারিয়ে খুলনা এই সাফল্য পায়।
আসরে ছয় ম্যাচে তিন জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৯.৮১ পয়েন্ট নিয়ে রেকর্ড সপ্তমবার এনসিএলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা। রাজশাহী বিভাগকে পেছনে ফেলে এনসিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড গড়ল খুলনা। এত দিন ছয়টি করে শিরোপা নিয়ে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে ছিল খুলনা ও রাজশাহী।
ঢাকার বিপক্ষে শেষ রাউন্ডে জয় বা ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে খুলনার, এমন লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে শিরোপা জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল খুলনা। ঢাকাকে চাপে রেখেছিল তারা। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১০২ রান করেছিল ঢাকা। তাই পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র দুই রানে এগিয়েছিল ঢাকা।
ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিন বাকি পাঁচ উইকেট থেকে ১১৪ রান যোগ করে গুটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। আগের দিন রকিবুল হাসান ৩৯ ও মোহাম্মদ আরাফাত নয় রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ দিনের শুরু থেকে ব্যাট হাতে বেশ সাবলীল ছিলেন রাকিবুল ও আরাফাত। তাই প্রথম সেশনে অবিচ্ছিন্নই ছিলেন তারা। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন রাকিবুল। ৮৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যান তিনি। ৪২ রান ছিল আরাফাতের নামের পাশে।
তবে বিরতির পর হতাশায় পুড়তে হয় রকিবুলকে। ব্যক্তিগত ৯৯ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়লে এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন রাকিবুল। ২২৭ বল মোকাবিলা করে চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
আরাফাতের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন রকিবুল। তাঁর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামেন আরাফাতও। পাঁচটি চারে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাদের বিদায়ের পর ২১৬ রানেই শেষ হয় ঢাকার ইনিংস। এই ইনিংসে খুলনার পক্ষে ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা ২১৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ জয়ের জন্য মাত্র ১১৭ রানের টার্গেট পায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে হারায় খুলনা। দুই রান করে ফিরেন রবি। এরপর ব্যাট হাতে মারমুখী হন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। তবে অন্যপ্রান্তে সতর্ক ছিলেন অমিত মজুমদার।
শেষ পর্যন্ত এই জুটি অবিচ্ছিন্ন ১১৪ রান যোগ করে খুলনার জয় ও শিরোপা নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ২৫ দশমিক ৪ ওভারেই জয় নিশ্চিত হয় খুলনার। চারটি করে চার-ছক্কায় ৭৬ বলে অপরাজিত ৭৯ রান করেন বিজয় । অমিত ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৫০ রান করা খুলনার নুরুল হাসান ম্যাচসেরা হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা বিভাগ : ২৭৯/১০, ৯৩.১ ওভার (তাইবুর ১১০, মাজিদ ৬৬, শুভাগত ৬০, হালিম ৫/২৭)।
খুলনা বিভাগ : ৩৭৯/১০, ১২৮ ওভার (নুরুল ১৫০*, তুষার ৮২, শুভাগত ৫/৪৬)।
ঢাকা বিভাগ : ২১৬/১০, ৮৬.৩ ওভার (রাকিবুল ৯৯, আরাফাত ৫৩, জিয়াউর ৫/৪৪)।
খুলনা বিভাগ : ১১৭/১, ২৫.৪ ওভার (এনামুল ৭৯*, অমিত ৩৩*, নাজমুল ১/৪৯)।
ফল : খুলনা বিভাগ নয় উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নুরুল হাসান (খুলনা বিভাগ)।