খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ভারত!
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। তবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয় দলটির কাছে পাত্তাই পায়নি কোহলিরা। ভারতের বিরুদ্ধে আট উইকেটে সহজ জয় ছিনিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
লক্ষ্য ২৮৮ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজ বুঝিয়ে দিল ২২ গজের অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যাটিং লাইন-আপ তাদের।
ম্যাচে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক প্রথমে বোলিংয়ে নামেন। যা দেখে বিরাট কোহলি চমকে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের শুষ্ক পিচে তিনি প্রথমে ব্যাট করতেই চেয়েছিলেন।
পোলার্ডের বল করার সিদ্ধান্ত যে খুব একটা ভুল ছিল না তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের সাত ওভারের মধ্যেই। রোহিত শর্মাকে রেখে কে এল রাহুল ও বিরাট কোহলি চলে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে। শেলডন কটরেলের শিকার হন দুই ব্যাটসম্যানই। রাহুল মাত্র ছয় রান করে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। কোহলি ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন।
এরপর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন হিটম্যান। পাশে পান শ্রেয়াস আয়ারকে। রোহিত-আয়ারের জুটি প্রায় সেটই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পোলার্ডের বলে আলজারি জোসেফের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৫৬ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান তিনি। ১৯ ওভারের মধ্যেই ভারত তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮০ রান তুলতে গিয়ে।
এবার আয়ার এবং ঋষভ পন্ত দুরন্ত ভাবে খেলাটা ধরে নেন। ১১৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৮৮ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফেরেন আয়ার। এদিন কেরিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে শতরানের স্বাদ পান তিনি। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন আয়ার।
আয়ার ফেরার পর পন্ত ফিরে যান। ভারতের এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের হাত থেকে এসেছে ৬৯ বলে ৭১ রান। সাতটি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি। আর দুজনেই ফিরে যান পোলার্ডের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে।
এরপর কেদার যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে চেষ্টা করেন ভারতের স্ট্রাইক রোটেট করার। ঝড়ো ইনিংসই উপহার দেন তাঁরা। যাদব ৩৫ বলে ৪০ ও জাদেজা ২১ বলে ২১ করে ফিরে যান। শেষে দীপক চাহার (৭) শিবম দুবের (৯) সৌজন্যে ভারত নির্ধারিত ওভারে ২৮৭ রান তোলে।
রান তাড়া করতে নামেন শে হোপ ও সুনীল আমব্রিস। উইন্ডিজের মাত্র ১১ রানের মাথায় আমব্রিসকে এলবিডব্লিউ করে দেন দীপক চাহার। ক্যারিবিয়ান ওপেনার আট রান করে ফিরে যান। পঞ্চম ওভারের মাথায় ভারত প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছিল।
এরপর মাঝখানে ৩৩ ওভার চলে গেল দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে। ততক্ষণে মেন ইন মেরুনরা ম্যাচ বার করে নিয়েছে। ওপেনার হোপ আর তিনে ব্যাট করতে আসা শিমরন হেটমায়ার দুজনেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। সমীহ করলেন না ভারতের কোনো বোলারকে।