ক্লাবের পাশে দাঁড়ালেন খেলোয়াড়রা
করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গন। করোনার কবলে বিশ্বের সব টুর্নামেন্ট বন্ধ। কোনো রকম আয় ছাড়াই খেলোয়াড়দের বেতন গুনতে হচ্ছে ফুটবলের ক্লাবগুলোকে।
এমন কঠিন মুহূর্তে নিজেদের ক্লাব থেকে বেতন না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বার্সেলোনা-জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। এই পথ ধরে এবার ক্লাবের পাশে দাঁড়ালেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ফুটবলাররাও। করোনার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ায় ক্লাব থেকে বেতনের ৭০ শতাংশ কম নিতে রাজি হয়েছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। শুধু মূল দল নয়, নারী দল ও ক্লাবের ‘বি’ দলের সব খেলোয়াড় ও কোচরাও নিজেদের বেতনের ৭০ শতাংশ নেবেন না।
এ ছাড়া ক্লাবটির মূল দলের খেলোয়াড় ও ক্লাব পরিচালকরা অন্য কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ক্লাবকে সাহায্য করবেন।
এর আগে বার্সেলোনার কাছ থেকে নিজেদের বেতনের ৭০ শতাংশ কম নেওয়ার কথা ঘোষণা দেন দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি। করোনার দুর্যোগ মোকাবিলার সময়ে ক্লাবের অন্য কর্মচারীরা যেন শতভাগ বেতন পান, এর জন্য তাঁরা সব রকমের সহযোগিতা করবে বলে জানান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
চার মাসের বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের ফুটবলাররাও। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় কোচ, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেয় জুভেন্টাস। তুরিনের ক্লাবটির সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়েছেন দলের কোচ মাওরিসি ও ফুটবলাররা। ফলে আগামী চার মাস বেতন নেবেন না রোনালদোরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন—এই চার মাসের বেতন নেবেন না রোনালদোরা। এই চার মাসে কোচ ও খেলোয়াড়দের বেতন থেকে কাটা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ মিলিয়ন ইউরো। সেটা দিয়েই করোনার ক্ষতি পূরণ করবে জুভেন্টাস।