যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ আটের লড়াইয়ে নামবে দুই দল।  পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

দুর্দান্ত জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করে বাংলাদেশের যুবারা। ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বৃষ্টি আইনে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় তারা। প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৩৭ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ১১ দশমিক দুই ওভারেই ১৩২ রান তুলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ২২ ওভারে ১৩০ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল আকবর আলীর দল।

এরপর গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় স্কটল্যান্ডের। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে স্কটিশদের ৮৯ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তাই সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় তারা।  গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ। তাই তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে ওঠে বাংলাদেশ। তিনি ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থেকে একই গ্রুপের রানার্সআপ হয় পাকিস্তান।

যুবাদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য তৃতীয় স্থান। ২০১৬ সালের আসরে ‘এ’ গ্রুপে তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পায় বাংলাদেশ। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার লিগে খেলতে নামে তারা। ওই আসরে সুপার লিগের কোয়ার্টারফাইনাল জিতলেও, সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

এই আসরে খেলতে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পচেফস্ট্রুমে সাতদিনের ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। ক্যাম্প শেষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ভালোভাবেই ঝালিয়ে নেয় তারা।

এদিকে, তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গ্রুপে তিন ম্যচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আফগানিস্তান। আফগানদের কাছে হার দিয়ে আসর শুরু করে প্রোটিয়ারা। সে ম্যাচে সাত উইকেটে হেরেছিল তারা। তবে পরের দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কানাডাকে ১৫০ রানে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বৃষ্টি আইনে ২৩ রানে হারায় প্রোটিয়ারা।