কোহলির অধিনায়কত্বের প্রেরণা ধোনি
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্পর্ক নিয়ে প্রায় মুখরোচক আলোচনা হয়। অনেকেই মনে করেন, দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা ভালো খুব একটা ভালো নয়। বিষয়টি নিয়ে এবার স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন কোহলি। জানিয়ে দিলেন, এসব মুখরোচক কথার ভিত্তি নেই। বরং তাঁর অধিনায়কত্বের প্রেরণা ভারতের সফল অধিনায়ক ধোনি।
সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এমনটাই জানালেন বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে নিজের উত্তরণের কারণ হিসেবে কোহলি তুলে ধরেন টানা ছয়-সাত বছর খুব কাছ থেকে সাবেক ভারত অধিনায়ক ধোনিকে পর্যবেক্ষণ করার ঘটনাও। এ ছাড়া দায়িত্ব পেয়ে তা সফল ভাবে সামলানোর ব্যাপারেও ধোনি তাঁকে সাহায্য করেছেন জানান কোহলি।
ধোনির কাছে থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন বলে মনে করেন কোহলি, ‘কাছ থেকে দেখার কারণে ধোনির কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি আমি। ব্যাপারটা এ রকম নয় যে, ধোনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরে নির্বাচকরা বলে দিলেন, এবার তুমি অধিনায়ক।'
কোহলি আরো বলেন, ‘আমার অধিনায়ক হওয়ার পেছনে তাঁর (ধোনি) অনেক ভূমিকা আছে। আর এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছিল টানা ছয়-সাত বছরে। রাতারাতি একেবারেই নয়।'
কীভাবে অধিনায়ক হিসেবে উত্তরণ হয় সেটাও তুলে ধরেন কোহলি, ‘উত্তরণের ব্যাপারটি ভালোভাবে ঘটতে শুরু করে যখন প্রথম স্লিপে দাঁড়াতে শুরু করলাম। ফলে খেলার মধ্যে অধিনায়কের সঙ্গে মত বিনিময়ের দরজাটাও খুলে গিয়েছিল। কারণ, তখন অধিনায়কের কাছেই থাকতাম আমি। অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়ে আমি বলেই যেতাম, এটা করতে পারতে, ওটা করতে পারতে। কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবছি, এসব। কিছু মত বাতিল হতো। কিন্তু অনেক বিষয়ই আলোচনা হতো। ফলে আমার প্রতি ধোনির আস্থাটা তৈরি হয়েছিল যে, ওর পরে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে পারব।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের ইনিংসকেই উল্লেখ করেন কোহলি, ‘২০১২ সালে পাকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল ছিল। এশিয়া কাপে সেবার তাদের ৩৩০ রান তাড়া করতে হতো আমাদের। সৈয়দ আজমল-উমর গুলের মতো বোলারের বিরুদ্ধে। সেই ইনিংস আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।'