করোনার ভয়ে ফ্রান্স ছেড়ে ব্রাজিলে নেইমার
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালির লোকজন। এর পরেই আছে ফ্রান্স। সেই ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতেই খেলেন নেইমার। তবে করোনার ভয়ে নিজ ক্লাব ছেড়ে ব্রাজিলে ফিরে গেলেন নেইমার ও থিয়াগো সিলভা।
করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ইউরোপিয়ান লিগগুলো। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ ফ্রান্সের লিগ ওয়ান। তাই প্যারিসে বসে না থেকে নেইমার ও থিয়াগো সিলভা ফিরে গেছেন নিজ দেশ ব্রাজিলে। খেলোয়াড়দের ফ্রান্স ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে পিএসজি। তবে প্যারিস কিংবা যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁদের সেলফ আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে কোচ মিকেল আর্তেতাকে ছাড়াই ২৪ মার্চ অনুশীল শুরু করতে যাচ্ছে আর্সেনাল। সরকারের নির্দেশে আর্সেনালের সব ফুটবলার ও কর্মকর্তা ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। আর্তেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আপাতত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
একের পর এক দুঃসংবাদ দিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক মহামারির আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাস। এর আঘাতে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাবে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে। এবার অবশ্য বড় ধাক্কাটা খেল ফুটবলের ক্লাব দেপোর্তিভো আলাভেস। ক্লাবটির কমবেশি ১৫ ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ক্লাবটির পক্ষ থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্পেনের ক্লাবটির আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন মূল দলের তিনজন ফুটবলার। করোনা টেস্টে তিনজনেরই ‘পজিটিভ’ ধরা পড়েছে। ক্লাবটির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব মিলিয়ে ১৫ জন টেস্টে পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মূল দলের ফুটবলার। বাকিদের মধ্যে সাতজন কোচিং স্টাফের এবং পাঁচজন ক্লাবের অন্যান্য পেশাজীবী।’
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সব বড় টুর্নামেন্ট। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন স্প্যানিশ ফুটবল কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া। মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান তরুণ এ ফুটবল কোচ।
করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৯২৯ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪ হাজার ৮০১ জন। বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুঃসংবাদ শুনেছে বাংলাদেশও। গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এ ছাড়া দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন বলেও জানানো হয়।