এই কদিন আগে টোকিও অলিম্পিক গেমস স্থগিত করেছে আইওসি। আগামী ২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে গেমস স্থগিত করা হয়। এই গেমস আগামী বছর আয়োজন হতে পারে।

তবে গেমস স্থগিত হওয়ায় আইওসি বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ক্ষতির পরিমান প্রায় ২১ হজার কোটি টাকার মতো। 

এক সাক্ষাৎকারে টোকিও অলিম্পিক কমিটির সিইও তোসিরো মুতো বলেন, ‘প্রাথমিক হিসেবে দেখা গেছে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হবে আমদের। এখন আমরা একের পর এক হিসেব খতিয়ে দেখছি। উদ্ভূত সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত খরচের মাত্রা যে অনেকটাই বেড়ে গেছে তা নতুন করে না বললেই চলে। যেভাবেই হোক এখন আয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এখন আমরা সেই জায়গাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাপে আইওসি গেমস স্থগিত করে দেয়। স্পন্সরদের কারণে গেমস বাতিল করার পক্ষে ছিল না আইওসি। তবে কানাডা দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নড়েচড়ে বসে আইওসি।

শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া অ্যাথলেটদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গেমস স্থগিতের পক্ষে ছিল। তারাও চাইছিল অলিম্পিক এবার বাতিল হোক। এই কারণে তারা আইওসি এবং জাপান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের প্রধান নির্বাহী ম্যাক সিয়েগেল গেমস আয়োজক কমিটির কাছে এক লিখিত বার্তায় অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেখানে সিয়েগেল লিখেছেন, ‘প্রত্যেক্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সবসময়ই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। এটা প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শুধু আমাদের ক্রীড়াবিদদের জন্যই নয়, অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রস্তুতিও বিঘ্নিত হচ্ছে। পুরো বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।’