ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ইঙ্গিত কোহলির
টানা নয় বছর ধরে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। তিন ফরম্যাটে দলের নেতৃত্বও তাঁর কাঁধেই। কিন্তু বয়স তো বাড়ছে, এবার যে অন্তত একটি ফরম্যাট থেকে ছুটি চাই কোহলির। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে আড্ডায় তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে ভিডিও চ্যাটে ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসন। আড্ডার ছলেই কোহলি জানালেন সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম চাই তাঁর।
কোহলি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমার বিশ্রামের প্রয়োজন। গত দু-তিন বছরে আমাকে অনেক খেলতে হয়েছে। যখনই পেরেছি বিশ্রাম নিয়েছি। হয়তো একটি ওয়ানডে সিরিজ, তারপর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আমি টেস্ট ক্রিকেটটা মিস করতে চাই না। কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল, যখন আমার মনে হয়েছে এর কোনো মানে হয় না। আমি সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে বলেছি। আমি বলেছি, এমন ম্যাচ খেলা ঠিক না, যার জন্য আপনি কোনো অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি এভাবে খেলা পছন্দ করি না।’
ক্রিকেটের এত ব্যস্ত সূচি মানা যে কঠিন, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি, ‘নয় বছর ধরে একটানা তিন ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছি, আইপিএল তো আছেই। ছয় বছর ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব করছি। বিষয়টি এত সহজ নয়।’
আপাতত ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন কোহলি, ‘আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দু-তিন বছরের জন্য একটা সময় বেঁধে দিয়েছি। তত দিন আমার সর্বোচ্চটাই দেব। এর পর কী অবস্থা, কোন ফরম্যাট থেকে বিদায় নেব—এসব নিয়ে চিন্তা করব।’
এরপর দুঃসময় কাটিয়ে সফল হওয়ার গল্পও শোনান কোহলি। ভারতীয় অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে তলানির অধ্যায় ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর। সেটি এমন একটি সময়, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনিও (পিটারসেন) বুঝতে পারবেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি বুঝতে পারতাম, রান করার কোনো সম্ভাবনাই নেই আমার। তার পরও বিছানা ছাড়তে হয়েছে, খেলার পোশাক পরতে হয়েছে, মাঠে গিয়ে ওই প্রক্রিয়াটার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রতিদিনই জানতাম যে নিশ্চিত ব্যর্থ হতে যাচ্ছি, এটি আমাকে পুরোপুরি গ্রাস করেছিল। পুরোপুরি বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। এরপরই আমি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি, ওই অবস্থার ভেতর দিয়ে নিজেকে আর কখনোই যেতে দেব না। ব্যাপারটি কিন্তু পুরোপুরি মানসিক।’