ইংল্যান্ডকে ছোট লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হতাশ করলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। দায়িত্ব নিতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও। সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ।
আজ বুধবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
আবুধাবিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। যথারীতি ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার লিটন ও নাঈম। মঈন আলীর বলে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন লিটন। টাইমিং ঠিক হয়নি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্কয়ার লেগে। সেখানে থাকা লিভিংস্টোন ক্যাচ নিতে ভুল করলেন না। ৮ বলে ৯ রানে বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার।
পরের বলেই মঈন আলীর ফাঁদে পা দেন নাঈম। ইংলিশ অফ স্পিনারের বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে উড়িয়ে মারেন নাঈম। বল চলে যায় মিডঅনে। ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ত্রিস ওকস। ৭ বলে ৫ রানে করেন নাঈম।
ওয়ানডাউনে নেমে দায়িত্ব নিতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। ষষ্ঠ ওভারে তাঁকে শিকার বানান ওকস। ইংলিশ তারকার লেগ স্টাম্পে থাকা লেংথ বল ফাইন লেগের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু জোর দিয়ে মারতে পারেননি। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে সাকিবকে (৪) ফিরিয়ে দেন আদিল রশিদ।
পাওয়ার প্লেতে রীতিমত হতাশ করে বাংলাদেশ। ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে মাত্র ২৭ রান। মাঝে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহিম। ওই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১১তম ওভারে মুশফিককে বিদায় করে ওই জুটি ভাঙেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংলিশ লেগস্পিনারকে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় আউট হন মুশফিক। ৩০ বলে ২৯ করেন তিনি, ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি।
এরপর শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিতে পারলেন না আফিফ হোসেন। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও। লিভিংস্টোনের বলেই ১৯ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক। শেষ দিকে নাসুম চেষ্টা করলেও দ্রুত অভিজ্ঞ ব্যাটারদের হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারল না বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে শেষ পর্যন্ত অল্পতেই থেমে যায় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিলস। সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী ও লিভিংস্টোন। একটি নিয়েছেন ক্রিস ওকস।