আল্লাহকে ডাকা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুরোধ মাশরাফীর
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ডাকতে ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুরোধ করলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার জন্য এক ভিডিও বার্তায় মাশরাফী বলেন, “আশা করি সবাই ভালো আছেন। যদিও ‘ভালো আছেন’ কথাটা এই মুহূর্তে বলা ঠিক কি না, কারণ সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যেখানেই যাবেন দেখবেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। তবে আতঙ্কিত না হওয়ারও কোনো কারণ নাই। পৃথিবীর বড় বড় দেশও এখন বিপর্যস্ত । তারা কোনোভাবেই ট্যাকল দিতে পারছে না।’
দেশের মানুষকে পরামর্শ দিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘বড় বড় দেশকে দেখছি, তারা ভেঙে পড়ছে। আমাদের দেশটা তো এমনিতে ছোট, মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের যদি এ রকম সংকট আসে, আল্লাহ না করুক, কী হতে পারে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। এই মুহূর্তে করণীয় অনেক কিছু আছে, যেগুলো আমি মনে করি আমাদের সবারই করা উচিত। এক হচ্ছে, ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকা আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। আল্লাহর কাছে বলা যে, আল্লাহ আমাদের রহমত করুন।’
মাশরাফী আরো বলেন, ‘প্রবাসী ভাই-বোনেরা যারা বিদেশে থাকেন, আসছেন দেশে বা যারা বেড়াতে গিয়েছিলেন আর দেশে আসছেন— তাদের অনেক কিছু করার আছে। নিয়ম-কানুনগুলো অবশ্যই মেনে চলা। পরিবার নিয়ে আপনি আলাদা ১৪ দিন থাকা কোয়ারেন্টিনে থাকুন। ১৪ দিন পার হওয়ার পর যদি আপনি অসুস্থ না হোন তখন আপনার পরিবারকে নিয়ে ঘরে থাকবেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকিৎসক বা সমাজের উচ্চ-পদস্থরা ঘোষণা না করছেন যে, আমরা নিরাপদ, ততক্ষণ ঘরে থাকবেন।’
দেশের মানুষকে নিয়ম-কানুনগুলো ধারণা নিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুবেন। ১৫-২০ মিনিট অন্তর-অন্তর নিয়মিত পানি পান করা এবং আপনার ঘর, আপনার চারপাশটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। আমাদের এসব নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চলতে হবে। আমাদের উচিত এখন থেকেই তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা। কারণ তা রাষ্ট্রীয় সংকট হয়ে যেতে পারে। আমরা কেউ জানি না আশাপাশে কারা আছে। আমরা যে বের হচ্ছি, কার হাত ধরছি, কী করছি, কেউ জানি না আসলে এই ভাইরাসটা কী নিয়ে পথ চলছে। কারণ এ ভাইরাসটা ১৪ দিন সময় নেবে আপনার বুঝার জন্য। তাই আমার কাছে মনে হয় যে, এটা গভীরভাবে চিন্তা করার ব্যাপার।’
দেশের সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধও করেন মাশরাফী, ‘আমরা যেটা গুরুত্ব দিচ্ছি না, সেটা যদি আকস্মিকভাবে আমাকে, আপনাকে, আপনার পরিবারকে, পরিবারের কাউকে বা সামাজিকভাবে আঘাত করে সেটা কিন্তু সামাল দেওয়া খুব কঠিন হবে। আমি আগেও বলেছি, ইতালির মতো বড় বড় দেশ, ইংল্যান্ড-স্পেন-চীন বলেন, সবাই কিন্তু হিমশিম খেয়েছে, খাচ্ছে। সেখানে আমরা কতটুকু পারব সেটা ভাবার এখন সময় এসেছে। কারণ দেশটা অনেক ছোট, মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে কিন্তু ভাবার সময় আছে।’