আরিফুলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে এগিয়ে রংপুর
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে রাজশাহী বিভাগকে লিড নিতে দিলেন না রংপুর বিভাগের পেসার আরিফুল হক। ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে রাজশাহীকে ২৫৪ রানেই গুটিয়ে দেন আরিফুল।
সোহরাওয়ার্দী শুভর সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় রংপুর। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ছয় উইকেটে ২২৪ রান করেছিল রাজশাহী। পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে ছিল রাজশাহী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৫৪ রানেই অলআউট রাজশাহী। ফলে প্রথম ইনিংসে ২০ রানের লিড পায় রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে ছয় উইকেটে ২২৮ রান করে রংপুর। তাই চার উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৮ রানে এগিয়ে যায় রংপুর।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিন তিন উইকেট নেওয়া আরিফুল আজ আরো তিন উইকেট পান। ইনিংসে ২৩.২ ওভারে ৪১ রানে ছয় উইকেট নেন আরিফুল।
জাতীয় দলের খেলোয়াড় সাব্বির রহমান ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন দ্বিতীয় দিন শেষে। সাজেদুল ইসলামের শিকার হয়ে ২২ রানে থামেন তিনি। লোয়ার-অর্ডারে শুধু দেলোয়ার হোসেনই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার পরও প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারেনি রাজশাহী।
প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে প্রথম বলেই উইকেট হারায় রংপুর। শূন্য রানে ফিরেন ওপেনার মেহেদি মারুফ। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ১২১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় রংপুর। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তানবীর হায়দার ও আরিফুল। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ৪৮ রানে থামেন আরিফুল। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রান করেছিলেন তিনি।
এরপর রিসাদ হোসেনকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন তানবীর। রিসাদ ১৮ ও তানভীর ৭২ রানে অপরাজিত আছেন। রাজশাহীর দেলোয়ার চার উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর বিভাগ : ২৭৪/১০, ৮৯.৪ ওভার (শুভ ১০৫, আরিফুল ৫৭, দেলোয়ার ৪/৫৯)।
রাজশাহী বিভাগ : ২৫৪/১০, ৮৬.২ ওভার (ফরহাদ ৭৫, মিত্রা ৬৭, আরিফুল ৬/৪১)।
রংপুর বিভাগ : ২২৮/৬, ৬১ ওভার (তানভীর ৭২*, আরিফুল ৪৮, দেলোয়ার ৪/৭৩)।