আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় সাদিও মানে
অবশেষে পারফরমেন্সের স্বীকৃতি পেয়েছেন লিভারপুল তারকা সাদিও মানে। ২০১৯ সালের আফ্রিকর বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার। প্রথমবারের মতো মানে এই পুরস্কার জয় করলেন।
মিসরে অনুষ্ঠিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২৭ বছর বয়সী মানের হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেওয়া হয়। এই পুরস্কার জয়ে তিনি পিছনে ফেলেছেন লিভারপুল সতীর্থ গত দুইবারের বিজয়ী মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ ও ম্যানচেস্টার সিটি আলজেরিয়ান স্ট্রাইকার রিয়াদ মাহারেজকে।
পুরস্কার হাতে নিয়ে উচ্ছসিত মানে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুশি, একইসাথে এই পুরস্কার জয় করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি দিন। আমি সব সেনেগালিস জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা সবসময়ই আমার পাশে ছিল। আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।’
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সেনেগালের কোনো খেলোয়াড় হিসেবে বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মানে। এর আগে ২০০১ ও ২০০২ সালে পরপর দুইবার আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন এল হাডি ডিউফ।
আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মানে ২০১৯ সালে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৬১টি ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছেন ও ১২টিতে সহযোগিতা করেছেন। অন্যদিকে সালাহ ৫৫ ম্যাচে করেছেন ২৬ গোল, ১০টিতে সতীর্থকে গোল করতে সহযোগিতা করেছেন। আর মাহারেজ সারা বছরে ৪৮টি ম্যাচে ১৮টিতে সহযোগিতা করা ছাড়াও নিজে করেছেন ১৪টি গোল।
সেনেগালের এই গুরুত্বপূর্ণ তারকা ২০১৮/১৯ মৌসুমে সালাহ ও আর্সেনালের পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট অ্যাওয়ার্ড জয় করেছিলেন।
মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা হুয়ান সেবাস্টিয়ান ভেরোন ও ব্রাজিলের কাফু। এ ছাড়া আফ্রিকার সাবেক তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনেগালের দিউফ, মিসরের আহমেদ হাসান ও আলজেরিয়ার রাবাহ মাডজার। তবে সালাহ বা মাহারেজের কেউই কাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
২০১৯ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপে মানে, সালাহ ও মাহারেজ তাদের নিজ নিজ দলের হয়ে খেলেছেন। সালাহর মিশর দলটি টুর্নামেন্ট থেকে একটু আগে ভাগেই বিদায় নিলেও মানে ও মাহারেজ খেলেছেন ফাইনালে। কায়রোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সেনেগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আলজেরিয়া। এই শিরোপার কারণেই আলজেরিয়া জাতীয় দল বর্ষসেরা দল ও দলটির কোচ ডামেল বেলমাডি বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জয় করেছে।
এ ছাড়া নারী বিশ্বকাপে শেষ ১৬’তে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় ক্যামেরুনের জাতীয় নারী দলটি বর্ষসেরা দলের পুরস্কার জয় করেছে। নারীদের বিভাগে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা কোচ মনোনীত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের কোচ ডিসাইরি এলিস।
মিসরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বর্ষসেরা ফেডারেশনের স্বীকৃতি পেয়েছে।
সালাহ, মানে, অবামেয়াং, মাহারেজ ছাড়া আফ্রিকান বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নিয়েছেন আয়াক্সের দুই খেলোয়াড় আন্দ্রে ওনানা ও হাকিম জিয়েচ, পিএসজির মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ে, কালিডও কোলিবেলি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের আর্চাফ হাকিমি, লিভারপুলের জোয়েল মাটিপ ও টটেনহ্যামের সার্জি অরিয়ার।