অনেক হতাশার মাঝেও উজ্জ্বল রাহি
ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয় ভারত। ব্যাটিং-বোলিং কোনো দিক দিয়েই জ্বলে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় দিনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য ছিল। দলের এই হতাশার মধ্যেও পেসার আবু জায়েদ রাহি ছিলেন আলাদা। পেসবান্ধব উইকেটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চার উইকেট নিয়ে সবার মধ্যে উজ্জ্বল ছিলেন ডানহাতি বোলার।
গতকাল বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথম দিন ভারতের সামনে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের পর দিনের শেষভাগে বোলিংয়েও ব্যর্থতা। ফলে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৮৬ রানে দিন শেষ করে ভারত। তবে ভারতের ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়েছেন রাহি।
প্রথম দিনের মতো ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে ছিল ভারত। তবে আজ শুক্রবার দিনের শুরুতে চমক দেখিয়েছেন রাহি। সকালের শুরুতে ফিরিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারাকে।
এরপর উইকেটে আসা কোহলিকে এক রানও করতে দিলেন না রাহি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল কোহলি হয়তো ভাবতে পারেননি এতটা ভেতরে ঢুকবে। কোহলি ডিফেন্স করতে চাইলেন। কিন্তু বল কোহলিকে ফাঁকি দিয়ে লাগে পেছনের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিলে ফলাফল আসে বাংলাদেশের পক্ষে। শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
পরের দুই সেশন বাংলাদেশি বোলারদের যথেষ্ট ভোগান আগারওয়াল মায়াঙ্ক ও অজিঙ্কা রাহানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে মায়াঙ্কের সঙ্গে ১৯০ রানের জুটি গড়েন রাহানে। দুই ব্যাটসম্যানে ভর করে বড় লিডের পথে এগোচ্ছিল ভারত। উইকেট পাওয়া তো দূরের কথা, দুই ব্যাটসম্যানকে কোনো পরীক্ষায়ই ফেলতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। সে মুহূর্তে অজিঙ্কা রাহানেকে আউট করলেন রাহি। চা বিরতির পর তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এ নিয়ে চারটি উইকেট শিকার করলেন এই বাংলাদেশি পেসার।
রাহি ছাড়া বল হাতে বাকিরা কেউ ভূমিকা রাখতে পারেননি। অবশ্য এই উইকেটে স্পিনারদের কিছু করার তেমন সুযোগও নেই। ভারতের খুব বেশি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান না থাকায় মিরাজ-তাইজুলদের স্পিন তেমন কাজে লাগছে না। উইকেটে সাফল্য পাচ্ছেন না এবাদত হোসেনও। সে ক্ষেত্রে এক স্পিনারকে বসিয়ে আরেকজন পেসার খেলাতে পারত বাংলাদেশ। তাতে হয়তো আরেকটু সুবিধা হলেও পেতে পারত মুমিনুল হকের দল।