অথচ তামিম সবচেয়ে সফল
পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। সিরিজে বাংলাদেশ ব্যর্থ হলেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। দুই ইনিংসে একটি হাফসেঞ্চুরিতে ১০৪ রান করেছেন তিনি।
তামিম প্রথম ম্যাচে ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় ইনিংস খেলেন তিনি। ৫৩ বলে ৬৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তামিমের পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ। দুই ইনিংসে একটি হাফসেঞ্চুরিতে ৮৪ রান করেছেন তিনি।
তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ছাড়া আছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। দুই ইনিংসে ৪৩ রান করেছেন তিনি।
বল হাতেও সফল বাংলাদেশি ক্রিকোটাররা। উইকেট সংগ্রহে তালিকায় সবার ওপরে আছেন বাংলাদেশি পেসার শফিউল ইসলাম। দুই ইনিংসে তিন উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি পেসার। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার আল-আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান এবং স্পিনার আমিনুল ইসলাম।
তবে দল ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার এই সিরিজ শেষে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। গতকাল সোমবার রাত আড়াইটার দিকে মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বহুল আলোচিত এই সফর বাংলাদেশের কেটেছে চরম হতাশায়। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ পাত্তাই পায়নি। টানা দুই জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।
দুই হারের ব্যর্থতা কাটিয়ে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ দল। তাই শেষটা রাঙাতে আশাবাদী ছিল দল। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি সেটাও হতে দেয়নি। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। তাই চরম হতাশা নিয়ে গতকাল দিবাগত রাতেই দেশের বিমান ধরে বাংলাদেশ দল।
গত বুধবার বাংলাদেশ দল একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে পাকিস্তান গিয়েছিল। পাঁচ দিনের সফর শেষে কোনো সাফল্য না নিয়েই দেশে ফিরে আসে তারা।
তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও পাকিস্তান যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একটি টেস্ট খেলতে সেখানে যাবেন মুমিনুল হক-তাইজুল ইসলামরা। রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী ৭-১১ই ফেব্রুয়ারি বসবে টেস্টটি। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পাকিস্তান সুপার লিগ আয়োজনে করবে পিসিবি। পিএসএল শেষ হওয়ার পর এপ্রিলে তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল করাচিতে খেলবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ। এরপর ৫-৯ এপ্রিল করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টে নামবেন টাইগাররা।