১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না কোহলিরা
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বলা হয় বিসিসিআইকে। অথচ তারাই কি না ১০ মাস ধরে ক্রিকেটারদের বেতন দিচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবর থেকে বেতনহীন কোহলি-রোহিতসহ বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ২৭ ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল যে দুটি টেস্ট, আটটি টি-টোয়েন্টি ও ৯টি ওয়ানডে খেলেছে, সেগুলোর ম্যাচ ফি এখনো বাকি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন দিতে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক খরচ হয় ৯৯ কোটি রুপি। বোর্ডের কমপক্ষে আটজন ক্রিকেটার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, গত ১০ মাস বেতন পাননি তাঁরা। এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিজ্ঞ ভারতীয় ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বেতনের বিষয়ে কিছুই জানি না। কেন্দ্রীয় চুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশের পর কোনো খবর নেই। চার ধাপে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আমরা জানি না, কখন পারিশ্রমিক আসবে। কোনো পরিষ্কার বার্তা নেই আমাদের কাছে। গত মাসে ফেব্রুয়ারির নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। কিন্তু এখনো সেই টাকা আসেনি।’
শুধু জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররাই নন। বয়সভিত্তিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদেরও বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে শেষ ব্যালান্স শিট প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চে। সেখানে বলা হয়, বোর্ডের নগদ ও ব্যাংক ব্যালান্সের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৫২৬ কোটি রুপি। ফিক্সড ডিপোজিটের (স্থায়ী আমানত) পরিমাণ দুই হাজার ৯৯২ কোটি রুপি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে বোর্ডের সঙ্গে স্টার টিভির সম্প্রচার স্বত্ব অনুযায়ী চুক্তির পরিমাণ ছয় হাজার ১৩৮ কোটি রুপি।
গত ডিসেম্বর থেকে বোর্ডের কোনো ফিন্যান্সিয়াল অফিসার নেই। গত মাস থেকে ফাঁকা হয়েছে জেনারেল ম্যানেজার এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পোস্টও। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সচিব জয় শাহের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ টালমাটাল অবস্থায় বিসিসিআই।