হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া
টানা দুই ম্যাচে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। শেষটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার হোয়াইটওয়াশ ঠেকানোর ম্যাচ। একই সঙ্গে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে ওঠার লড়াই। রোমাঞ্চকর ম্যাচে দুটোই জিতল অসিরা। ইংলিশদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠল অ্যারন ফিঞ্চের দল।
সিরিজের শেষ ম্যাচে গতকাল মঙ্গলবার ইংলিশদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে জিতে একদিনের জন্য র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল ইংল্যান্ড। গতকাল ফের ইংলিশদের টপকে শীর্ষস্থানে ফিরল অসিরা।
সাউদাম্পটনে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। ৪৪ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল সমান তিনটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি। বাকিরা কেউই হাত খুলে খেলতে পারেননি। বাকি ৯ জনের কেউ ৩০-এর ঘর পার করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন জো ডেনলি। ২৩ রান করেন মইন আলি; আর ২১ রান করেন ডেভিড মালান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে জয় তুলে নেয় অসিরা। সমান ৩৯ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ ও মিচেল মার্শ। ২৬ রান করেন স্টয়নিস। টি-টোয়েন্টি শেষে আগামী শুক্রবার থেকে টেস্টে লড়বে দুদল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৪৫/৬ (ব্যান্টন ২, বেয়ারস্টো ৫৫, মালান ২১, বিলিংস ৪, মইন ২৩, ডেনলি ২৯*, জর্ডান ৪, কারান ২*; স্টার্ক ৪-০-২০-১, হেজেলউড ৪-০-২৩-১, রিচার্ডসন ৪-০-৩১-১, অ্যাগার ৪-০-৩৫-১, জাম্পা ৪-০-৩৫-২)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.৩ ওভারে ১৪৬/৫ (ওয়েড ১৪, ফিঞ্চ ৩৯, স্টয়নিস ২৬, ম্যাক্সওয়েল ৬, স্মিথ ৩, মার্শ ৩৯*, অ্যাগার ১৬*; আর্চার ৩-০-৩২-০, উড ৪-০-৩৮-১, জর্ডান ২.৩-০-১৯-০, রশিদ ৪-০-২১-৩, কারান ৪-০-২৩-১, ডেনলি ১-০-৮-০, মইন ১-০-৫-০)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মিচেল মার্শ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : জস বাটলার।