ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন তরুণ ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি করেন তিনি। আগের দুই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন হৃদয়। ফলে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তিনি।

যুব ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির নজির রয়েছে ১১ জন ব্যাটসম্যানের। আগের ম্যাচে সেই রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছিলেন হৃদয়। আর আজ সেঞ্চুরি করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন হৃদয়।

হৃদয়ের রেকর্ড গড়া ম্যাচে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশের যুবারা।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৫৮ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। নাবিল ৬৫ রানে থামলে চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে সেঞ্চুরির জুটি গড়েন হৃদয়। আর এই জুটিতে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত তিনটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ১০২ বলে ১১১ রান করেন হৃদয়। আগের তিন ম্যাচে যথাক্রমে অপরাজিত ৮২, অপরাজিত ১২৩ ও ১১৫ রান করেন তিনি।

পারভেজের ৩৮ রানের পর শেষদিকে ১২ বলে ২৪ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক দাস। ফলে ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার রোহান সঞ্জয়া দুটি উইকেট নেন।

শেষ ম্যাচে সান্ত্বনা জয়ের জন্য ২৮৪ রানের টার্গেট পায় শ্রীলঙ্কা। তবে সফরকারি দলটি ব্যাট হাতে নেমে ২৩৩ রানে অলআউট হলে ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশের বোলাররা ছয়টি উইকেট নেন। বাকি চার ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন। বাংলাদেশের শাহিন আলম-হাসান মুরাদ দুটি করে, অভিষেক দাস-শামিম হোসেন একটি করে উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন রবীন্দু রাসানথা।

ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের হৃদয়। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ক্রিকেটে আজ পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির বিবেচনায় যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন হৃদয়। তার সমান পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে ভারতীয় উন্মুখ চাঁদের। সবচেয়ে বেশি ছয়টি সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের সামি আসলাম।