হাসিকে অস্ত্র বানিয়ে সফল আকবর
দেশের ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় এক অধ্যায় রচনা করেছেন আকবর আলীরা। প্রথমবার দেশকে এনে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কোনো বৈশ্বিক আসরের শিরোপা। তবে এ সাফল্যের পেছনের পথটা সহজ ছিল না। ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্লেজিংয়ের বিপক্ষে রীতিমতো লড়াই করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশি যুবারা।
ম্যাচ চলাকালীন ভারত যে স্লেজিং করবে, সেটা আগে থেকেই ধারণা ছিল বাংলাদেশের। তাই মাঠে নামার আগে স্লেজিংয়ের বিষয়টি মাথায় গেঁথে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের যুবারা। তাতে ভারতকে চেপে ধরার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে শতভাগ।
তবে সতীর্থরা স্লেজিং করলেও হাসির মন্ত্রে ভারতকে কাবু করেছেন অধিনায়ক আকবর আলী। দলের চরম বিপর্যয়ে যখন ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তখন ভারতীয়দের স্লেজিংয়ের মুখে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পাল্টা স্লেজিং না করে হাসিমুখেই প্রতিপক্ষকে বধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
গতকাল বুধবার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের যুবারা। বিসিবির আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যাওয়ার আগে এনটিভিকে আকবর বলেন, ‘একটা বইয়ে পড়েছিলাম, হাসি হলো সবচেয়ে সেরা প্রতিশোধ। আমিও সে চেষ্টা করেছি। ওরা যত স্লেজিং করেছে, চেষ্টা করেছি মুখে হাসি রাখতে। তাতে ওদের ওপর ভিন্ন প্রভাব পড়ে আর কী।’
বিশ্বকাপের মিশন শেষে, গতকাল বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন বাংলাদেশের যুবারা। ফুল দিয়ে তাঁদের বরণ করে নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা। মিষ্টিমুখ করানো হয় খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। প্রত্যেককে পরিয়ে দেওয়া হয় ফুলের মালা।
এ ছাড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য বিশেষ বাসের আয়োজন রেখেছিল বিসিবি। বাসে লেখা হয় ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’। এই গাড়িতে করেই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেরেবাংলায় পৌঁছান আকবররা। মিরপুরে ছিল আরো বিশাল আয়োজন। ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসের সামনে ছিল শখানেক মোটরসাইকেল। রাস্তাজুড়ে মিছিল করে মিরপুরে আনা হয়। এরপর মাঠভরা দর্শকের সামনে কেক কেটে ক্রিকেটারদের বরণ করে নেন বিসিবির সভাপতি।
বিসিবির আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন যুব দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে ফিরে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ক্রিকেটাররা।