স্বর্ণালি উৎসবে মেতে উঠেছে বাংলাদেশ
এসএ গেমসে এর আগে চারটি স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই দিনেই এই সাফল্য পেয়েছিলেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। মাঝে তিনদিন ছিল না একটিও স্বর্ণ-সাফল্য। আজ শনিবার এক দিনেই ঝুলিতে এসেছে তিনটি স্বর্ণপদক। ভারোত্তলনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবং জিয়ারুল ইসলামের পর ফেন্সিংয়ে মেয়েদের এককে দেশকে স্বর্ণালি উৎসবে মাতিয়ে তোলেন ফাতেমা মুজিব। গেমসে বাংলাদেশ তাই এখন পর্যন্ত সাতটি স্বর্ণপদক জিতেছে।
দিনে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেন মাবিয়া। মেয়েদের ভারোত্তোলনে ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। স্ন্যাচে ৮০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজিসহ মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলে স্বর্ণ নিজের করে নিয়েছেন এই কৃতী ভারোত্তোলক।
প্রতিযোগিতায় স্ন্যাচে ৮৩ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০১ কেজিসহ মোট ১৮৪ কেজি নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিসি প্রিয়ান্থি। আর ১৭২ কেজি নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন নেপালের তারা দেবী। এর আগে ২০১৬ এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন মাবিয়া।
ভারোত্তোলনে এদিন দ্বিতীয় স্বর্ণপদক এনে দেন জিয়ারুল ইসলাম। ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনি দেশকে ষষ্ঠ স্বর্ণপদক এনে দেন। এই ইভেন্টের স্ন্যাচ (১২০ কেজি) ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১৪২ কেজি) মিলিয়ে ২৬২ কেজি তুলে সেরা হন জিয়ারুল।
দিনের তৃতীয় স্বর্ণপদক আসে ফেন্সিংয়ে, মেয়েদের সাবরে এককে সেরা হন ফাতেমা। এবারই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ফেন্সিং। কাঠমান্ডুর কৃতিপুরে তিনি এই পদক জেতেন।
পদক জিতে দারুণ খুশি মাবিয়া বলেন, ‘সবাই আমার ওপর আস্থা রেখেছে। এই ইভেন্টের আগে অনেকে আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এখন দ্বিতীয়বারের মতো সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি দারুণ খুশি।’
গত ৩ ডিসেম্বর এমনই এক স্বর্ণময় দিনের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। আসরের দ্বিতীয় দিনের সকালে পরপর তিনটি স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা।
কারাতের কুমি ইভেন্টে পুরুষ এককে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে ফাইনালে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ পয়েন্টে হারিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে দেশকে দিনের প্রথম সোনা এনে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট আল আমিন।
পরে এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম মেয়ে অ্যাথলেট হিসেবে এবং দিনের দ্বিতীয় স্বর্ণ নিয়ে এসেছিলেন মারজানা আক্তার পিয়া। কারাতে মেয়েদের কুমিতে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজির ফাইনালে পাকিস্তানের কউসার সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারান তিনি।
আর বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দেয়া হুমায়রা আক্তার মেয়েদের কুমিতে ওই দিনই অনূর্ধ্ব-৬১ কেজির ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের আনু গুরংকে ৫-২ পয়েন্টে হারিয়ে কারাতে থেকে দিনের তৃতীয় এবং আসরের চতুর্থ স্বর্ণপদক এনে দেন।
এসএ গেমসে এর আগে তায়কোয়ান্দো থেকে প্রথম স্বর্ণপদক পায় বাংলাদেশ। নিজের ইভেন্ট পুমসে সেরা হয়ে দিপু চাকমা এনে দেন এ পুরস্কার। গত সোমবার ছেলেদের ২৯ (প্লাস) বয়স ক্যাটাগরিতে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে সেরা হন দিপু।