শেষের রোমাঞ্চে পাকিস্তানের স্বস্তির জয়
ইংল্যান্ডকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান মইন আলি। শেষ দুই ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল মাত্র ২০ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন পাকিস্তান দলে ফেরা ওয়াহাব রিয়াজ। মইন-ঝড় থামিয়ে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে স্বস্তির জয় উপহার দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশরা। দ্বিতীয়টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১৯তম ওভারে যখন শেষ ১২ বলে ইংল্যান্ডের ২০ রান দরকার, তখন বল হাতে আসেন ওয়াহাব। ১৯তম ওভারে তিনি প্রথমে ফিরিয়ে দেন ক্রিস জর্ডানকে। পরের বলে থামিয়ে দেন মইন-ঝড়। এরপর আর জয়ে ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের। ব্যাট হাতে ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন মইন। ৩৩ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চার বাউন্ডারি ও চার ছক্কায়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। পঞ্চম ওভারে আউট হন বাবর আজম। ফেরার আগে ২১ রান করেন তিনি।
এরপর হায়দার আলি ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। হায়দারের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন হাফিজ। ৫৪ রানে হায়দারের বিদায়ে ভাঙে দারুণ এই জুটি।
হায়দার ফিরলেও টিকে ছিলেন হাফিজ। দারুণ ছন্দে খেলতে থাকা হাফিজ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ২০ ওভারে ১৯০ রানের পুঁজি এনে দেন। ৫২ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। টানা দুই হাফসেঞ্চুরিতে ম্যাচ ও সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন হাফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৯০/৪ (বাবর ২১, ফখর ১, হায়দার ৫৪, হাফিজ ৮৬*, শাদাব ১৫, ইমাদ ৬*; মাহমুদ ৪-০-৩৭-০, মইন ১-০-১০-১, জর্ডান ৪-০-২৯-২, কারান ৪-০-৩২-১, গ্রেগরি ৪-০-৪১-০, রশিদ ৩-০-৪০-০)।
ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৮৫/৮ (ব্যান্টন ৪৬, বেয়ারস্টো ০, মালান ৭, মরগান ১০, মইন ৬১, বিলিংস ২৯, গ্রেগরি ১২, জর্ডান ১, কারান ৮, রশিদ ৩*; আফ্রিদি ৪-০-২৮-২, ইমাদ ৪-০-৩৫-১, রউফ ৪-০-৪১-১, ওয়াহাব ৪-০-২৬-২, শাদাব ৪-০-৪৮-০)।
ফল : পাকিস্তান ৫ রানে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ হাফিজ।