শিরোপা যুদ্ধে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
দিল্লি-রাজকোট ছেড়ে বাংলাদেশের বর্তমান ঠিকানা ভারতের নাগপুর। আজ রোববার নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
দিল্লির বায়ু দূষণের মাঝে বেশ চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তুলে নিয়েছে প্রথম জয়। বল হাতে যেমন দুর্দান্ত ছিলেন আফিফ-বিপ্লবরা। স্লো উইকেটে তেমনই দুর্দান্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। মোটামুটি রানে ছিলেন বাকিরাও।
কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি টাইগাররা। এক রোহিত ঝড়ে সিরিজে সমতা টেনেছে ভারত। বাংলাদেশ হেরেছে সাত উইকেটে। সিরিজে সমতা ফেরায় শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে কঠিন লড়াইয়ের। জিতলে ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
কিন্তু সেটা কি সম্ভব? ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বাংলাদেশকে রীতিমতো প্রিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান রোহিত। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮২.২৫ গড়ে ছয় সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে তাঁর রান এক হাজার ৩১৬। শচীনের পরই আছেন রোহিত। ৫০.৭২ গড়ে তিন সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটিতে তাঁর রান এক হাজার ১১৬। রোহিতের দিনে তিনি একাই একশ। গত ম্যাচে এক রোহিতের কাছেই পাত্তা পায়নি টাইগাররা।
তাই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য রোহিতকে থামানো। কিন্তু কী অস্ত্রে রোহিত ঝড় থামাবে বাংলাদেশ? যদিও সেই রহস্য নিয়ে কিছু বলতে চান না রোহিত। গতকাল শনিবার রোহিত বলেন, ‘যদি রহস্যটা বলেই দেই, তাহলে ওরা সেটা জেনে যাবে। আমাকে আটকাতে চেষ্টা করবে। আমি এটা কিছুতেই বলতে চাই না। আমি সব প্রতিপক্ষের সঙ্গেই ভালো খেলতে পছন্দ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়।’
অবশ্য বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ভাবছেন অন্য পথ। নাগপুরের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুযোগ থাকতে পারে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চান তিনি। ডমিঙ্গো বলেন, ‘উইকেটে যদি স্পিন থাকে, তাহলে ম্যাচে আমাদের স্পিনারদের সুযোগ চলে আসবে। আমাদের প্রচুর স্পিনার আছে, যাদের দিয়ে পুরো ২০ ওভারই করানো সম্ভব। আশা করি, এতে সাফল্যও পাওয়া সম্ভব।’
কোচ আরো বলছেন, ‘একটি হারে ভেঙে পড়ার প্রতিক্রিয়া দেখাবে, এমন দল আমরা চাই না। অনেক দিন ধরে এটাই হয়ে আসছে। আমরা নির্দিষ্ট একটা গ্রুপের খেলোয়াড়দের সমর্থন দিয়ে যেতে চাই।’
সবকিছু মিলিয়ে নাগপুরে কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিরোপা এনে দিতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।