রাজশাহীকে উড়িয়ে ফাইনালে মুশফিকের খুলনা
ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৭ বলে খেললেন ৭৮ রানের ইনিংস। বল হাতে চমক দেখালেন মোহাম্মদ আমির। মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিলেন ছয় উইকেট। শান্ত-আমিরের দিনে রাজশাহীকে ২৭ রানে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠল খুলনা টাইগার্স।
এই জয়ের সুবাদে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেল খুলনা টাইগার্স। রাজশাহীর আশাও শেষ হয়ে যায়নি। ফাইনালে ওঠার জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরেকটি সুযোগ পাবে তারা। আগামী বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে আন্দ্রে রাসেলের দল।
আজ সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৫৮ রান করে খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩১ রানে থামে রাজশাহী রয়্যালস।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা টাইগার্স। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হারায় মেহেদী মিরাজকে। মাত্র আট রানে ইরফানের বলে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। একই ওভারে রাইলি রুশোকেও টিকতে দেননি ইরফান। রানের খাতা খোলার আগেই রুশোকে বিদায় করেন তিনি।
এক ওভারে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জুটিতে অনেকটা এগিয়ে যায় খুলনা। ১৩তম ওভারে শামসুরকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন রবি বোপারা। ফেরার আগে দুই বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৩২ রান করেন শামসুর।
মাঝে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক। তবে ক্র্যাম্প বেশ ভোগাচ্ছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২১ রান করে মাঠ ছেড়ে যান খুলনা অধিনায়ক। এরপর আর উইকেট হারায়নি খুলনা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শান্ত হাল ধরেন খুলনার। তাতে নির্ধারিত ওভারে ১৫৮ রান তোলে মুশফিকের দল। ইনিংস শেষে ৫৭ বলে সাত চার ও চার ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। তাঁর সঙ্গে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই গুরুত্বপূর্ণ ওপেনার লিটন দাসকে হারায় রাজশাহী। আমিরের বলে দুই রানে ফেরেন লিটন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানেন আমির। এবার ফেরান আরেক ওপেনার আফিফ হোসেনকে। একই ওভারে অলোক কাপালিকেও সাজঘরে পাঠান পাকিস্তানি পেসার।
এরপর আমিরের বোলিং তোপে একে একে সাজঘরে যান রবি বোপারা, আন্দ্রে রাসেলরা। মাত্র ২৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় রাজশাহী। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আন্দ্রে রাসেলের দল।
শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করেন শোয়েব মালিক। কিন্তু আরেক প্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। তাতে নির্ধারিত ওভারে ১৩১ রানে থেমে যায় রাজশাহী। ৫০ বলে ৮০ রান করে আউট হন মালিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইগার্স : ২০ ওভারে ১৫৮/৩ (শান্ত ৭৮*, মিরাজ ৮, রুশো ০, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১ আহত অবসর, জাদরান ১২*, ইরফান ৪-১-১৩-২, আবু জায়েদ ২-০-২১-০, মালিক ৩-১-২৩-০, রাসেল ৪-০-৩৩-০, রাব্বি ২-০-২০-০, তাইজুল ২-০-২২-০, বোপারা ৩-০-২৪-১)।
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৩১/১০ (লিটন ২, আফিফ ১১, মালিক ৮০, অলোক ০, বোপারা ১, রাসেল ০, ফরহাদ রেজা ৩, তাইজুল ১২, রাব্বি ১১, ইরফান ০, রাহী ৭৭; আমির ৪-০-১৭-৬, রবি ৪-১-২৯-১, শফিউল ৪-০-৩৬-০, শহীদুল ৪-০-১৫-১, আমিনুল ৩-০-২৬-০, মিরাজ ১-০-৬-২)।
ফল : ২৭ রানে জয়ী খুলনা টাইগার্স।