ব্যাটসম্যানদের নয়, মাহমুদউল্লাহ দুষছেন উইকেটকে
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দায়ী করছেন অনেকে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দায়ী করছেন উইকেটের চরিত্রকে।
আজ শুক্রবার পাকিস্তানে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘উইকেট বিস্ময়কর ছিল। বল পুরনো হয়ে যাওয়ার পর শট খেলা কঠিন ছিল। তা ছাড়া উইকেটও অন্যরকম হচ্ছিল। পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য গিয়েই কিছু করা কঠিন হচ্ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এতটা মন্থর উইকেট হবে আশা করিনি। তবে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে।’
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সাবধানে করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি একজনও। নাঈমের ব্যাটে শুরুতে কয়েকটি বড় শট এলেও পরে তিনিও ধীর গতিতে খেলতে শুরু করেন।
ধীরে শুরু করা দুই ওপেনার পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে তোলেন মাত্র ৩৫ রান। পাওয়ার প্লেতে ৩৬ বলের ২২টিই ছিল ডট। প্রথম পঞ্চাশ ছুঁতে বাংলাদেশের লেগেছে ৪৬ বল। ১১তম ওভারে ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৬৬ বলে ৭১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
তামিমের পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাধেন নাঈম। কিন্তু বেশিদূর আগায়নি দ্বিতীয় জুটি। লিটনের আউটে ২৭ রানে ভাঙে দ্বিতীয় জুটি। সেট হয়ে রানের গতি বাড়াতে পারেননি নাঈমও। ১৪.৪তম ওভারে শাদাব খানের বলে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান করেন নাঈম। ১০ বল খেলে ফিরে যান আফিফও। শেষ তিন ওভারে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন হারিস রউফ। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে একটি নেন শাদাব খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। ১৬ বলে ১৭ রানে ফিরে যান হাফিজ। তবে শোয়েব মালিকের সঙ্গে দারুণ ছন্দে ছুটেন আহসান আলী। ১২তম ওভারে সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন আমিনুল ইসলাম। ৩৬ রান করে ফেরেন আহসান।
ছোট লক্ষ্যের জবাবে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়েও খুব একটা চাপে পড়েনি পাকিস্তান। ফর্মে থাকা মালিকের ব্যাটে চড়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন আমিনুল ইসলাম। দুটি উইকেট নেন শফিউল। আর সমান একটি করে নেন মুস্তাফিজ ও আল-আমিন।