বুরুন্ডির বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ
ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচে বুরুন্ডির বিপক্ষে আক্রমনাত্বক ঢংয়ে শুরু করলেও হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুরুন্ডির ফরোয়ার্ড জসপিনের জোড়া গোলে ২-০ গোলে পিছিয়ে আছে জামাল ভূঁইয়ারা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন আগের ম্যাচের নায়ক মতিন। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারিয়েও ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ।
প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষ শিবিরে তিনবার আক্রমণ করে স্বাগতিকরা। বড় সুযোগ আসে ষষ্ঠ মিনিটে। বুরুন্ডির ডি-বক্সে সুফিল বল বাড়ান ইব্রাহিমকে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন ইব্রাহিম। উল্টো বল নিয়ে বাংলাদেশের ডি-বক্সে গিয়ে আক্রমণ করে অতিথিরা। তবে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার বাধা টপকে গোল আদায় করতে পারেনি বুরুন্ডি।
৩০ মিনিটে আরেকটি বড় সুযোগ মেলে বাংলাদেশের। নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করে অতিথিরা। তাতে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দূরপাল্লার লম্বা ফ্রি কিকে বল ঠিকানায় পাঠাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। পরের মিনিটে আবারও আক্রমণ। কিন্তু জামালের বাড়ানো ক্রসে হেড নিতে ব্যর্থ হন রিয়াদুল হাসান। দুই মিনিট বাদে আরো একবার ভক্তদের হতাশ করেন বাংলাদেশি ফুটবলাররা।
পুরো ম্যাচে আক্রমণাত্মক থাকা বাংলাদেশ বিরতির আগ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে। ৪৩ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠিয়ে বুরুন্ডিকে এগিয়ে নেন জসপিন। তিন মিনিট বাদের আবারও জসপিনের গোলেই স্কোরলাইন ২-০ করে নেয় অতিথিরা। প্রথম ম্যাচে মরিশাসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জসপিন। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর ষষ্ঠ গোল।
চলতি টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব দারুণ কেটেছে বুরুন্ডির। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরিশাসকে ৪-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে সেশেলসকে হারায় ৩-১ গোলে। টানা জয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে আফ্রিকার দেশটি। শুধু তাই নয় টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়া দলও হলো বুরুন্ডি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড়ও তাদের দলে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা করুণ। চোটে জর্জর বাংলাদেশ শুরুটাই হয়েছে হার দিয়ে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট পায় বাংলাদেশ।