বিশ্বকাপে দারুণ সাফল্য পাবে বাংলাদেশ, আশা জাহানারার
আর কিছুদিন বাদে অস্ট্রেলিয়ায় বসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানকার কন্ডিশনে বাংলাদেশ পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাহানারা আলম। তাঁর বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ায় দল ভালো কিছু করবে। তেমন ভালো কিছু স্মৃতি নিয়েই দেশে ফিরতে আশাবাদী তিনি।
ছয়জন স্পিনার নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সালমা খাতুনের নেতৃত্বে গড়া দলে রয়েছেন নাহিদা আখতার।
এ ব্যাপারে জাহানারা আলম বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে রোমঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি, উইকেট থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে। এখানে আমি দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশি রান দিতে চাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে দলীয় সমন্বয়। অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এখন আমরা কিছুটা অভিজ্ঞ। যদিও প্রথমবারের মতো আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।’
জাহানারার টি-টোয়েন্টি রেকর্ড চমৎকার। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারি তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অধিনায়ক সালমা খাতুন।
২০১৮ সালে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে ১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে দুটি মাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বছাইপর্বে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছে দলটি।
এবার বাংলাদেশ বেশি নির্ভর করছে অল রাউন্ডার জাহানারার ওপর। যিনি ২০১৭ সালে আইসিসির উঠতি তারকার মর্যাদা পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার নারী বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে জাহানারা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জন্য দারুণ সুযোগ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি শিখেছি কিভাবে বড় দল ও খেলোয়াড়রা খেলার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। বিশেষ করে জিম ও ফিটনেস সেশনে। সেটি ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা।’