ফেরার ম্যাচে মলিন ব্যাটসম্যানরা
করোনাভাইরাসের কারণে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হচ্ছে না বাংলাদেশের। তাই ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে প্রেসিডেন্টস কাপ কাপ নামে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিসিবি। নাজমুল একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা।
তবে ফেরার ম্যাচে হতাশ করলেন অনেক তারকা ব্যাটসম্যান। জ্বলে উঠতে পারেননি লিটন, মুমিনুল, সাব্বির, নাঈমরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ৪৭.৩ ওভারে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের জন্য নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাঠে গড়ায় খেলা। বিশাল প্রাইজমানি আর আন্তর্জাতিক আবহে শুরু হয় তিন দলের এই ওয়ানডে টুর্নামেন্ট।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে টস জিতে মাহমুদউল্লাহর দলকে ব্যাট করতে পাঠান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শুরুতেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তিন ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে ৪২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।
বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমেই ধাক্কা খায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বৃষ্টির পর প্রথম বলেই আউট হন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। আল আমিনের করা বল রান নিতে গিয়ে রান আউট হন নাঈম। ফেরার আগে ৯ রান করেন এই ওপেনার।
নাঈমের পর মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি লিটন দাসও। পরের ওভারে তাসকিনের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১১ রান করেন ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান।
নিজের তৃতীয় ওভারেও সাফল্য পান আল আমিন। ডানহাতি পেসারের লেন্থ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হন মুমিনুল হক। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন মুমিনুল।
মাত্র ২১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল। দুজন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪০ রানে ভাঙে ইমরুলের প্রতিরোধ। নাইম হাসানের বলে মিড উইকেটে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ইমরুল ফিরলেও উইকেটে থিতু ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। রানের গতি তেমন ছিল না, ৮০ বল খেলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। হাফ সেঞ্চুরি তুলতে মাহমুদউল্লাহ খেলেন তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। অবশ্য হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে সাজঘরের পথ দেখান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ফেরার আগে ৮২ বলে ৫১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। একই ওভারের তিন নম্বর সাব্বিরকে আউট করেন মুগ্ধ। ২১ রানে শেষ হয় সাব্বিরের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের উপর ভর করে নির্ধারিত ওভারের আগেই ১৯৬ রানে অলআউট হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
বল হাতে ৪০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আল আমিন। ৩৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। মুকিদুল নিয়েছেন দুটি উইকেট।