‘ফুটবল ফিরিয়ে আনার এখনই সময়’
ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের মাত্রা এখনো সেভাবে কমেনি। ওয়ার্টফোর্ডের এক ফুটবলার ও দুই কর্মী, বার্নালির ম্যানেজারসহ ক্লাবগুলোর মধ্যে মোট ছয়জনের শরীরে করোনার উপস্থিতির কথা জানা গেছে। এরই মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল (ইপিএল) ফিরিয়ে আনার চিন্তা চলছে। মাঠের অনুশীলনেও ফিরেছেন বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা। লম্বা সময় বিরতির পর ফুটবল মাঠে ফেরানোর এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
এরই মধ্যে অনুশীলনে ফিরেছে লিভারপুল। খেলোয়াড়দের মাঠে ফেরায় উচ্ছ্বসিত কোচ ক্লপ। ক্লাবের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে যেন চাঁদের ওপর দিয়ে হাঁটছি। আমি বরাবর বলে এসেছি, মাঠে নামার জন্য তাড়াহুড়ো করব না। তবে এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে মোটেও তাড়াহুড়ো বলা যাবে না। জীবনকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনতে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দিতে হবে। আমরা যাঁরা ইংল্যান্ডে রয়েছি, তাঁদের জন্য এই ব্যাপারটার খুব প্রয়োজন ছিল। এটার মধ্যে কোনো ধরনের ব্যস্ততা রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
এরপর ক্লপ বলেন, ‘সবাই বোধ হয় একমত হবেন যে সব দলকে চাঙ্গা করতে আমরা যে পথে এগোচ্ছি, তা ঠিক এবং ফুটবলকে ফিরিয়ে আনার এটাই সেরা সময়।’
আগামী মাসে ইপিএল শুরু করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেটা হলে দুটি ম্যাচে জয় প্রয়োজন ক্লপের দলের ইপিএল ট্রফি হাতে তুলতে। সে কারণে ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘শারীরিকভাবে দারুণ জায়গায় রয়েছে আমার দলের ফুটবলাররা। ওদের শুধু মাঠে নেমে বুটের সঙ্গে বলের সম্পর্কটা নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। তার ওপরেই এখন বেশি জোর দেব আমরা, যাতে ম্যাচ শুরু হলে ফুটবলারদের কোনো ধরনের অস্বস্তির মধ্যে না পড়তে হয়।’
যদিও ক্লপকে পীড়া দিচ্ছে অ্যানফিল্ডে দর্শকের অনুপস্থিতি, ‘এমন প্রাণবন্ত এবং উজ্জীবিত সমর্থক না থাকলে দল এই জায়গায় পৌঁছাতেই পারত না। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনকার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে অ্যানফিল্ডের দর্শকদের। এখন এটাই দাবি করছে পরিস্থিতি।’