ফিরমিনোকে প্রশংসায় ভাসালেন অ্যালিসন
ফ্লামেঙ্গো-লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট শেষ। গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর তাতেই কপাল খুলে যায় লিভারপুলের। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোর একমাত্র গোলে ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
২০০৫ সালের ফাইনালে ব্রাজিলের দল সাও পাওলোর বিপক্ষে হেরেছিল লিভারপুল। এবার সেই ব্রাজিল তারকা ফিরমিনোর হাত ধরেই শিরোপা ঘরে তুলল ইংলিশ জায়ান্টরা। এমন অবদানে ফিরমিনোকে প্রশংসায় ভাসালেন একই ক্লাবে খেলা জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালিসন।
চলতি মৌসুমে খুব একটা জালের দেখা না পাওয়ায় ফিরমিনোকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কয়েকবার। মৌসুমে মাত্র ছয়টি গোল করেছেন তিনি। অথচ তাঁর গোলে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতল লিভারপুল।
ফিরমিনোকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে লিভারপুল গোলকিপার ও সতীর্থ অ্যালিসন বলেন, ‘দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ- আমরা জানি, সেও জানে। তাই তাকে আমরা সেভাবেই মূল্যায়ন করে থাকি। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে সে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’ জাতীয় দলের সতীর্থকে নিয়ে প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ‘ফিরমিনো শুধু স্কোরই করে না, অ্যাসিস্টও করে থাকে। পেছনে থেকে ভূমিকা রেখে থাকে। সে যথেষ্ট সহায়তা করে, পার্থক্য গড়ে দেয়।’
গতকাল শনিবার রাতে দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা দারুণ করে লিভারপুল। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ফ্লামেঙ্গো। নিজেদের রক্ষণ আগলে আক্রমণ চালায় ইংলিশ ক্লাবটির শিবিরে। আক্রমণ চালায় লিভারপুলও। কিন্তু দুই দলের কেউ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। গোলের দেখা পায়নি কেউ।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাঁশি বাজলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তখন ৯৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ফিরমিনো। সাদিও মানের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিল তারকা। এরপর ১-০ গোলের জয়ে শিরোপা জিতে নেয় লিভারপুল।