ফাঁকা গ্যালারিতে বিপিএল!
নানা বিতর্ক আর শঙ্কা শেষে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএল। আজ বুধবার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। কিন্তু বহু কাঙ্ক্ষিত এই বিপিএল নিয়ে বিন্দুমাত্র উত্তেজনা নেই দর্শকের মাঝে। ২৬ হাজার আসনের স্টেডিয়ামে হাতেগোনা দর্শক।
এবারের বিপিএল মাঠে গড়ানো নিয়েই অনেক শঙ্কা ছিল। তবুও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে থাকায় আশা করা হচ্ছিল বাড়তি রং পাওয়ার। যার জন্য আয়োজন করা হয় জমজমাট উদ্বোধন অনুষ্ঠান। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অবশ্য সেই অনুষ্ঠান নিয়েও হয়েছে নানা সমালোচনা। ক্রিকেট অনুষ্ঠানে ক্রিকেট নিয়ে কোনো কিছুই ছিল না। ছিলেন না ক্রিকেটাররাও। বিসিবির মত অনুযায়ী, এটি ছিল স্রেফ উদ্বোধনী কনসার্ট। সেই অনুষ্ঠান মিটিয়ে মাঠকর্মীরা প্রস্তুত করেছেন ব্যাট-বলের লড়াইয়ের মঞ্চ। কিন্তু সেই লড়াই দেখতে কোনো উত্তেজনা নেই দর্শক সমাজে।
খেলা শুরু হওয়া এক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মাঠে তেমন দর্শক নেই। ভিড় নেই স্টেডিয়ামের গেটগুলোর সামনেও। পুরো মাঠ মিলিয়ে শুধু পূর্বদিকের গ্যালারিতে গুটি কয়েক দর্শক।
অবশ্য এর পেছনে টিকেটের দামও অনেকাংশে দায়ী। এবারের বিপিএলে টিকেটের সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে দুই হাজার টাকা, সর্বনিম্ন সাধারণ গ্যালারির টিকেটের মূল্যও ২০০ টাকা। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় এক দর্শকের কাছে আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আন্তর্জাতিক ম্যাচেও টিকেটের এত মূল্য ধরা হয় না। কিন্তু বিপিএলে এত দাম যে সবার এই দামে টিকেট কিনে খেলা দেখার ভাগ্য নেই।‘
একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্র বলছেন, ‘খেলাধুলা খুব পছন্দ করি, বাসাও মিরপুরে; কিন্তু এত দাম নিয়ে টিকেট কিনে খেলার দেখার সামর্থ্য সব সময় থাকে না।‘
আরেক নারী দর্শক বলেন, ‘এবারের বিপিএলে দলগুলোর প্রচারণা তেমন চোখে পড়ছে না। নতুনভাবে যেহেতু হচ্ছে প্রচারণা খুব দরকার। কারণ, অনেকে দলের নামই জানে না, খেলা দেখবে কী!’
সব মিলিয়ে এত আয়োজনের পরও আলোহীন বিপিএল। তবে মাত্র তো শুরু, যদি টিকেটের দাম আরো কমে, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আগ্রহ বাড়তেও পারে। গতবারও টিকেটের এমন বাড়তি মূল্য ধরা হয়েছিল, পরে সেটা কমিয়ে আনা হয়।