পারল না ওমানের সঙ্গে, হারল বড় ব্যবধানে
এই কিছুদিন আগে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে সবাইকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ কাতারের বিপক্ষেও দারুণ লড়াই করেন জামাল ভূঁইয়ারা। লাল-সবুজের দলের এবারের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ওমান। তাদের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে দারুণ খেলে অমীমাংসিত রেখেছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আর পারেনি তারা। তাই ৪-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা।
বিরতির পর খেলতে নেমেই প্রথম গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটে ফরোয়ার্ড মহসিন আল খালেদি লক্ষ্যভেদ করেন। ডি-বক্সের সামনে থেকে চমৎকার শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
পরে সমতায় ফিরতে অনেক চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তা না পারলেও উপরুন্ত আরেকটি গোল হজম করে বসে তারা। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন আল মান্দহার। আর ১০ মিনিটের ব্যবধানে আরশাদ আল আলাউই করেন তৃতীয় গোল। ওমানের চতুর্থ গোলটি আসে আমরান সাইদের পা থেকে।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি সান্ত্বনা গোল করেন বিপলু আহমেদ। ৮১ মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে চমৎকার প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান এই বাংলাদেশি স্ট্রাইকার।
অবশ্য দারুণ কয়েকটি আক্রমণ গড়ে বাংলাদেশ গোলের দেখা না পেলেও প্রথমার্ধ ছিল অমীমাংসিত। বিশেষ করে ম্যাচের ১২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার একটি শট ওমান গোলরক্ষক রুখে দেন, তা না হলে গোল হতেও পারত।
শক্তির দিক থেকে ‘ই’ গ্রুপে ওপরের দিকের দল ওমান। বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার মিশনে এরই মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই পরাজয় ও এক ড্রয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। অন্যদিকে সমান তিন ম্যাচ খেলে দুই জয় ও এক হার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওমান।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইতেও এগিয়ে ওমান। আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুদলের একবারই দেখা হয়েছিল। ১৯৮২ সালে সেই দেখায় বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ওমান। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অনেক এগিয়ে ওমান। র্যাঙ্কিংয়ের বর্তমান তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪, আর ওমান ৮৪ নম্বরে।