পাকিস্তান সফর নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই : পাপন
সব শঙ্কা কাটিয়ে চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। অবশ্য এই সফর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ আলোচনা হচ্ছিল। বাংলাদেশ চেয়েছিল শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে, পাকিস্তান বলছিল টেস্টও খেলতে হবে। তাই এই সিরিজ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিই নয়, সফরে একটি ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশ দল। গতকাল মঙ্গলবার বিসিবি সিরিজের সূচিও জানিয়ে দিয়েছে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মনে করেন এই সফর নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই। তিন ধাপে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্তেই নাকি অনড় বিসিবি।
দুবাইতে পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা শেষে আজ বুধবার ঢাকায় ফিরেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আইসিসির প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে আমার আগেই কথা হয়েছিল, এই সময়টায় উনার সঙ্গে দুবাইতে দেখা হবে। কিন্তু আমি গিয়ে দেখি পাকিস্তানের সভাপতিও সেখানে আছেন। এরপর সফর নিয়ে আলোচনা হয়। একটা টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি খেলে আসা যায় কি না, সেটাই আমরা চেয়েছিলাম। আমরা বলেছি শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে চলে আসতে চাই। তারপর একটা সময় আবার যাব। কিন্তু এতে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই এই আয়োজন। তবে তিনবারে একটা সিরিজের আয়োজন করা তাদের জন্য অনেক খরচ বেড়ে গেছে। এত সময়ও নেই তারা নতুন করে সব আয়োজন করতে পারবে। এরমধ্যে আমাদের কাছে মনে হয়েছে টেস্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টির চেয়ে একটা ওয়ানডে ম্যাচ হলে অনুশীলনটা একটু ভালো হবে।’
তিন বারে অল্প সময় করে থাকার কারণ জানিয়ে পাপন বলেন, ‘সরকার থেকে বলা আছে যেভাবে হোক সফর যেন সংক্ষিপ্ত হয়। আগে টি-টোয়েন্টি খেলে অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে টেস্টগুলো খেলতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত সেই ধারাতেই আছি।’
এ ছাড়া সিরিজটি নিয়ে সমালোচনা করার কোনো কারণ দেখছেন না বিসিবি সভাপতি, ‘আমি জানি না সবাই কেন সমালোচনা করছে। আমরা আগের অবস্থানেই আছি। যারা সমালোচনা করেছেন কেন করছেন সেটা তারাই ভালো জানেন। বাড়তি ওয়ানডে খেলা না খেলা নিয়ে কথা হওয়ার কারণ দেখি না। পিসিবি সিরিজের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ওটা বাড়তি যোগ করেছে।’
পাকিস্তান সফরে তিন ভাগে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি খেলবে বাংলাদেশ। সফরে মোট তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি টেস্ট এবং একটি ওয়ানডে খেলবে লাল-সবুজরা। ওয়ানডে ম্যাচটি নতুন সংযোজন। ২৪ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে ২৫ এবং ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। সব ম্যাচের ভেন্যু লাহোরে।
টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর আবার গিয়ে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজটিও দুই ভাগে হবে।
প্রথমভাগে ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরবে টাইগাররা। শেষ ভাগে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও শেষ টেস্ট খেলবে সফরকারীরা।