দুর্ভাবনা বাংলাদেশেই ফেলে গেছেন মাহমুদউল্লাহ
দেশটা পাকিস্তান বলেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল নিরাপত্তা ইস্যু। কারণ, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে হামলার পর ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাকিস্তানের হোম ভেন্যু। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর অবশেষে আলোর পথ দেখছে পাকিস্তান। ধীরে ধীরে ক্রিকেট ফিরছে পাকিস্তানে। সেই পথ ধরে নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও গেছে পাকিস্তানে।
তিন ধাপে শুরু হওয়া সফরের প্রথম ধাপে আজ শুক্রবার টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সফরকারীরা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়।
অনেক শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার পর পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, নিজেদের আয়নায় নিরাপত্তা নিয়ে কতটা পরিষ্কার তাঁরা। বিমানে ওঠার আগেই নাকি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার চাপ বাংলাদেশে ফেলে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘বিমানে ওঠার সময়ই আমরা তা (দুর্ভাবনা) ফেলে এসেছি, বাংলাদেশেই রেখে এসেছি। আমরা কেবল পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলা নিয়েই ভাবছি। ভালো পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছি আমরা।’
টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল পাকিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠ। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল, যার মধ্যে আটটিতেই জিতেছে পাকিস্তান। শেষ দুটিতে অবশ্য বাংলাদেশ জিতেছে।
সব মিলিয়ে পরিসংখ্যান কথা বলছে স্বাগতিকদের পক্ষে। তবুও হাল ছাড়ছে না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই পা রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই শোনালেন অধিনায়ক, ‘পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তান অনেক ভালো দল, শক্তিশালী দল। তবে আমি আমাদের দল নিয়ে আশাবাদী, যেন ভালো খেলতে পারি ও সিরিজ জিততে পারি। আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। ম্যাচ ও সিরিজ জয়ে আমাদের ধারাবাহিকতায় থাকতে হবে। এখন আমাদের জন্য ভালো সুযোগ দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে জায়গা হয়নি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ আমিরের। সুযোগ হয়নি ওয়াহাব, মোহাম্মদ ইরফান বা জুনায়েদ খানেরও। অনেকটা তরুণদের নিয়ে দল সাজিয়েছে পাকিস্তান। দলে আছে তরুণ পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ মুসা ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। সেইসঙ্গে বিগ ব্যাশে গতির ঝড় তোলা হারিস রউফ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানি তরুণদের সামনে কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। সেই পরীক্ষায় মাহমুদউল্লাহরা পাস করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল : মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), আমাদ বাট, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, আহসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মুসা খান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও উসমান কাদির।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি
২৪ জানুয়ারি : প্রথম টি-টোয়েন্টি
২৫ জানুয়ারি : দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
২৭ জানুয়ারি : তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
* প্রতিটি ম্যাচ লাহোরে