তামিম সম্পর্কে যা বুঝলেন ডমিঙ্গো
গত বছর সেপ্টেম্বরে টাইগারদের প্রধান কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসেন রাসেল ডমিঙ্গো। এ কয় মাসে এই দেশের ক্রিকেটের অনেক কিছুই দেখে ফেলেছেন তিনি। তবে দেখা হয়নি তামিম ইকবালের ব্যাটিং। বিশ্বকাপের পর সাময়িক বিরতি নেওয়ায় তামিমের সঙ্গে কাজ করা হয়নি ডমিঙ্গোর। পাকিস্তান সফর দিয়েই বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন বাংলাদেশ কোচ।
পাকিস্তান সফরের আগেই কোচ জানিয়েছিলেন, প্রথম সিরিজে তামিমের ব্যাটিং কাছ থেকে দেখবেন তিনি। তিন ম্যাচ সিরিজের দুটি শেষে তামিমকে কেমন দেখলেন, সে সম্পর্কে জানালেন ডমিঙ্গো।
পাকিস্তান সফরে মোটামুটি সফল তামিম। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ব্যাটিং ধরন নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে তামিমের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন ভক্ত সমাজেও। যেমন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তামিম করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৫৩ বলে ৬৫ রান। মূলত ধীরগতির ব্যাটিং নিয়েই প্রশ্নের মুখোমুখি তামিম।
দুই ম্যাচে তামিমের ব্যাটিং দেখে ডমিঙ্গো বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সিরিজ। আমার মতে, দুই ইনিংসেই সে ভালো খেলেছে। তবে অবশ্যই সে উন্নতি করতে পারে। প্রথম ম্যাচে আমরা বিনা উইকেটে ৬৮ করেছিলাম (১০ ওভারে ৬২), যা মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল। আজকে (শনিবার) আমরা ক্রমাগত উইকেট হারিয়েছি। দ্বিতীয় ওভার, চতুর্থ ওভার, অষ্টম ওভারে উইকেট হারিয়েছি। তাই হাত তুলে খেলা কঠিন ছিল, কারণ আরেক পাশের ব্যাটসম্যানও একই গতিতে রান করছিল।’
তবে তামিমকে যে আরো উন্নতি করতে হবে, সেটাও জানিয়ে গেলেন কোচ, ‘আরো কাজ করতে হবে। ওর সঙ্গে আমার প্রথম সিরিজ, দেখছি সে কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলে। আমাদের সবারই উন্নতির জায়গা আছে এবং অনেক আলোচনার সুযোগও আছে। আশা করি, নিজের খেলা সে পরের পর্যায়ে নিতে পারবে। তবে সব বিভাগেই কাজ করতে হবে।’
এ ছাড়া টানা দুই ম্যাচে হারের হতাশা নিয়ে কোচ বলেন, ‘এমন ফলাফল আসলে খুবই হতাশার। আর এই উইকেটটাও সহজ ছিল না। তবুও ১৫০-এর কম রান নিয়ে লড়াই করা কঠিন। প্রথম ম্যাচে আমাদের ১৫ রানের মতো কম হয়েছে। এই ম্যাচে ২৫ রানের মতো কম ছিল। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন। তারা (পাকিস্তান) এই ফরম্যাটের এক নম্বর দল। আর আমাদের অবস্থান ৯ নম্বরে। এটাই বলে দেয় দুই দলের মতো কতটা পার্থক্য। এত কম রান নিয়ে লড়াই সম্ভব নয়।’