চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। বিশ্রাম থেকে ফিরেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। কিন্তু তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে হতাশার রাত পার করল প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াই থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেছে প্যারিসের ক্লাবটি।

গতকাল মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। পিএসজির একমাত্র গোলটি করেন চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমার। আর প্রতিপক্ষ দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং ব্রাট হরল্যান্ড। আগামী ১২ মার্চ ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ফিরতি লেগে আবারও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে পিএসজি।

এদিন ম্যাচের শুরুটা বেশ লড়াইয়ের ছিল। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি একটি দলও। তবে আক্রমণে সমানে সমান ছিল পিএসজি-ডর্টমুন্ড। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় বিরতির পর পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় ডর্টমুন্ড। দারুণ শটে দলকে এগিয়ে নেন ব্রাট।

ছয় মিনিট বাদে পিএসজিকে সমতায় ফেরান নেইমার। এমবাপ্পের বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে জালে ঠেলে দেন চোট থেকে ফেরা নেইমার। কিন্তু গোল পাওয়ার আনন্দ স্থায়ী হয়নি ফরাসিদের। দুই মিনিট বাদে পিএসজিকে হতাশায় ডোবালন ব্রাট। তাতে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো পিএসজিকে।

অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে দিনের আরেক ম্যাচে লিভারপুলকে হারিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জিতেছে অ্যাথলেটিকো। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সাউল নিগেস। এই জয়ের মাধ্যমে নকআউট পর্বে ওঠার পথে আরো এগিয়ে গেল দিয়েগো সিমিওনের দল।

এর আগে গত আসরে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে টটেনহাম হটস্পারকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছিল লিভারপুল। সেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরাই এখন শেষ ষোলোর লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়ার পথে।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য দারুণ ছিল লিভারপুল। ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছে দলটি। কিন্তু বল একচেটিয়াভাবে দখলে রাখলেও আক্রমণ ভাগে ধার ছিল না চ্যাম্পিয়নদের। তাতে কোনোভাবেই ভাঙতে পারেনি অ্যাথলেটিকোর রক্ষণ।

উল্টো শুরুতেই গোল খেয়ে যায় লিভারপুল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন নিগেস। পিছিয়ে পড়ার পর অনেক চেষ্টার পরও ব্যবধান কমাতে পারেনি অলরেডরা।

আগামী ১১ মার্চ লিভারপুলের মাঠে ফিরতি লেগে আবারও মুখোমুখি হবে দুদল।