খেলা দেখার স্বাধীনতা ফিরে পেতে ঘরে থাকার অনুরোধ মাশরাফীর
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছেন খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য দেখতে অস্থির হয়ে আছেন খেলাপ্রেমীরাও। খেলা দেখার স্বাধীনতা ফিরে পেতে হলে সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
ক্রিকেটপ্রেমীদের ঘরে থাকার অনুরোধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন মাশরাফী। নিজের ফেসবুক পেজে মাশরাফী লিখেছেন, ‘খেলা দেখার স্বাধীনতা যদি আবার ফিরে পেতে চাই, এখন তাহলে সবচেয়ে ভালো ঘরে থাকাটাই। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সচেতন করার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়ে অসহায়-দুস্থ মানুষের পাশে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন মাশরাফী। জাতীয় দলের ২৭ ক্রিকেটার নিজেদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা অনুদান হিসেবে দান করছেন।
এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করছেন মাশরাফী। নড়াইল-২ আসনের প্রতিনিধি হয়ে নিজের তহবিল থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার ব্যক্তিগত অর্থে চিকিৎসকদের জন্য সরঞ্জাম দিয়েছেন মাশরাফী। নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. এম এ মোমিনের কাছে এসব সরঞ্জাম তুলে দেন মাশরাফীর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সাকুর, সদর হাসপাতালের আরএম এবং কুইক রেসপন্স টিমের ফোকাল পারসন ডা. মশিউর রহমান বাবু। শুধু তাই নয়, জেলার মাঠপর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্যও নিরাপত্তা সামগ্রীও দেওয়া হয় মাশরাফীর তরফ থেকে।
এ ব্যাপারে ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, ‘নড়াইল সদর হাসপাতালে ১০টিসহ দুটি উপজেলায় পাঁচটি করে মোট ২০টি আইসোলেশন ইউনিট গঠন করা হলেও চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল না। জেলার চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কের মধ্যেই কাটাচ্ছিলেন। এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠানো এসব চিকিৎসা নিরাপত্তা সামগ্রী পাওয়ায় চিকিৎসকরা অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন।’
সিভিল সার্জন সূত্রে খবর, ১৫৬টি গাউন ও হেডসেডার, ১২০টি মাস্ক, এক হাজার গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বেশ কিছু সামগ্রী প্রথম দফায় দেওয়া হয়। বাকি আরো কিছু সামগ্রী দু-একদিনের মধ্যেই দেওয়া হবে বলে মাশরাফীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মাশরাফীর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন বলেন, ‘নিরাপত্তা সরঞ্জাম যত প্রয়োজন, সব দেওয়া হবে। নড়াইলের কোনো মানুষ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সে ব্যাপারে আমরা করে যাব।’
এদিকে, জেলায় গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরাও সহায়তা পাওয়ার আশায় ভিড় করেছেন মাশরাফীর বাসায়।