করোনাভাইরাসের কারণে জাপানের সর্বোচ্চ পেশাদার ফুটবল আসরের জে লিগ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। আর মাত্র পাঁচ মাস পর টোকিওতে বসতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসে নাকি এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। তাই গেমস পিছিয়ে দেওয়া বা টোকিও থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য এ ব্যপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি আয়োজকরা।

আগামী জুলাইয়ে জাপানের টোকিওতে বসতে হাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকও। করোনাভাইরাসের কারণে অলিম্পিক আয়োজক দেশ জাপানে এই সংক্রমণে এ পর্যন্ত চার জন মারা গেছেন।

তবে আসরটি পিছিয়ে দেওয়া বা টোকিও থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি)।

গেমস বাতিলের মতো কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে টোকিও অলিম্পিক কমিটি। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকে হাজার হাজার সমর্থক ও পর্যটকের ভিড় আশা করছে জাপান আয়োজক কমিটি।

এক বিবৃতিতে টোকিও অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, আমরা এখনো গেমস বাতিলের কোনো আলোচনা করিনি। পরিকল্পনা মতোই গেমস আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।’

চীনে এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চাইনিজ সুপার লিগের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার কে-লিগও স্থগিত হয়ে গেছে। এরই মধ্যেই এই ভাইরাসের কারণে এশিয়ার ক্রীড়া ক্যালেন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অবশ্য সাত বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া অলিম্পিকের দিনক্ষণ দ্রুত পরিবর্তন করতে নারাজ জাপান।

জে-লিগ চেয়ারম্যান মিটসুরু মুরাই এ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সাময়িক ভাবে জাপান ফুটবল লিগ বন্ধ করাটা সত্যিই অনেক বড় সিদ্ধান্ত। গত সোমবার একটি মেডিকেল প্যানেল জাপান সরকারকে সতর্ক করে বলেছে আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

জাপানে ১৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন বলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে খবর এসেছে।